Banner
পশ্চিম বঙ্গে নির্ভীক ও বস্তুনির্ভর সাংবাদিকতার আর এক বাতিঘর ‘আরামবাগ টিভি’কে স্যাল্যুট — শামসুজ্জোহা মানিক

লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক, আপডেটঃ July 1, 2020, 12:00 AM, Hits: 1002

 

পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতাসীন মমতা সরকার স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের কত বড় শত্রু তার সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হচ্ছে ‘আরামবাগ টিভি’র উপর পুলিশ ও তৃণমূল দলের গুণ্ডাবাহিনীর হামলা। বিভিন্ন সময়ে সরকারের দুর্নীতি ও পুলিশের ঘুষ ও তোলাবাজি বাণিজ্যের উপর প্রমাণনির্ভর সংবাদ প্রচারের কারণে পশ্চিম বঙ্গের একটি জনপ্রিয় ইউটিউব প্রচারমাধ্যম ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এবং সংবাদকর্মী সুরাজ আলী খানকে গভীর রাতে তাদের বাসগৃহ থেকে প্রেফতার করে আরামবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ এবং সঙ্গেকার শাসক দল তৃণমূলের কর্মীবাহিনী। শফিকুল ইসলামের বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে তার দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীসহ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হল পশ্চিম বঙ্গের বিচার বিভাগের আচরণ। একটা ফালতু ও হাস্যকর মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিম্ন আদালত থেকে চৌদ্দদিনের পুলিশ হেফাজত বা রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। হয়ত উচ্চতর আদালতে এটা টিকবে না। কিন্তু সেটা তো পরের কথা। যাইহোক, এই একটা ঘটনা পশ্চিম বঙ্গে সংবাদমাধ্যমের এবং সেই সঙ্গে সেখানকার সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতির অবস্থা বুঝবার জন্য যথেষ্ট। এর অল্প কিছুদিন আগে আমরা ‘বাংলার বার্তা’র সম্পাদক সন্ময় বন্দোপাধ্যায়ের উপর পুলিশী হামলা ও অত্যন্ত নিন্দনীয় শারীরিক ‍নির্যাতনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।

এ পারের বাঙ্গালী হিসাবে পশ্চিম বঙ্গের ঘটনাবলীর উপর আমাদের দৃষ্টি থাকে। সেখানকার সুসংবাদগুলি যেমন আমাদেরকে বিশেষভাবে আনন্দিত করে তেমন সেখানকার মন্দ সংবাদগুলিও আমাদেরকে বিশেষভাবে দুঃখ দেয়। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর সরকারের পুলিশী নিগ্রহ আমাকে মর্মাহত করেছিল। তার প্রতিবাদে আমি বঙ্গরাষ্ট্রে লিখেছিলাম। আজ নূতন করে পশ্চিম বঙ্গ সরকারের প্রতি আমি ধিক্কার জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে আরামবাগ টিভি এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছি। ভিন্ন রাষ্ট্রের হলেও আরামবাগ টিভির সাহসী সাংবাদিকতাকে আমি স্যাল্যুট জানাই, যেমন স্যাল্যুট জানাই ‘বাংলার বার্তা’র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহসী সাংবাদিকতাকে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সমস্যা ও সঙ্কট সম্পর্কে এখানে নূতন করে বলতে হবে না। শুধু সাংবাদিকতা নয়, বরং সর্বক্ষেত্রে এ দেশে অধঃপাতের ঘোর অন্ধকার চলছে। এই রকম অবস্থায় আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী দেশের সাহসী লড়াইগুলি আমাদের এখানকার লড়াইয়ের জন্যও প্রেরণা যোগাবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস নির্ভীক ও বস্তুনির্ভর সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসাবে আমাদের সামনে বাংলার বার্তার পাশে আরামবাগ টিভি তার যে জায়গা করে নিয়েছে কোনও নির্যাতন দিয়েই তাকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত আরামবাগ টিভির আলো সাংবাদিকতার অন্ধকারাচ্ছন্ন দিশাহীন সাগরে পথ দেখাক নির্ভীক ও বস্তুনির্ভর সাংবাদিকতার অভিযাত্রীদেরকে।*

* আরামবাগ টিভির উপর ‘বাংলার বার্তা’ থেকে প্রচারিত বিস্তারিত সংবাদের জন্য দেখুন ইউটিউব চ্যানেলের লিংক : https://www.youtube.com/watch?v=SYj7-PB4PUE    

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Archive
 
সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ