Banner
আল্লাহ্র রূপ – মোহাম্মদ মোস্তফা

লিখেছেনঃ মোহাম্মদ মোস্তফা, আপডেটঃ October 25, 2009, 12:00 AM, Hits: 1144

আল্লাহ্কে কত নামেই না আমরা ডাকি! গড, ভগবান, জিহোভা বা ইয়াহ্ ওয়েহ্, ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তাসহ অসংখ্য নামে তাকে ডাকা হয়।

যাকে প্রতিদিন অসংখ্য বার স্মরণ করা হয় তিনি দেখতে কেমন, তার আচরণ কেমন ­ মনের ভিতরে বার বার ঘুরেফিরে এ রকম প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক।

পবিত্র বাইবেলের আদিপুস্তকে বলা আছে “ঈশ্বর পূর্ব দিকে এদন দেশে একটা বাগান করেছিলেন আর সেখানেই তিনি তার গড়া মানুষটিকে (আদম) রাখলেন। সেখানকার মাটিতে তিনি এমন সব গাছ জন্মিয়েছিলেন যা দেখতেও সুন্দর এবং যার ফল খেতেও ভাল। তা ছাড়া বাগানের মাঝখানে তিনি ‘জীবন গাছ’ ও ভাল-মন্দ জ্ঞানের গাছ নামে দু’টি গাছও জন্মিয়েছিলেন (আদিপুস্তক, সৃষ্টির কথা, ১:২১-২:২০)।

এ কথায় প্রমাণিত হয় এক সময় পৃথিবীতে তার অবাধ বিচরণ ছিল। এই বিচরণের ক্ষেত্রে তার আকার থাকাটাই স্বাভাবিক। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায়ও যদি কিছু থাকে যতই ক্ষুদ্র হোক তার একটা আকার থাকতে হবে।

কোরান শরীফের বিভিন্ন জায়গাতেও দেখা যাচ্ছে তিনি ফেরেশতাদের হুকুম করছেন বিভিন্ন কাজ করার জন্য। তার মানে, যে কথা বলতে পারে সে বোবা নয়।

তিনি কোথায় থাকেন এই প্রশ্নের উত্তরে ইসলাম ধর্ম বলে, তিনি সবখানেই বিদ্যমান। তিনি যদি সবখানেই থাকেন তাহলে মোহাম্মদ কষ্ট করে বোরাকে চড়ে সপæম আসমানে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ইসলাম ধর্ম কী বলে জানি না. হয়তো বোমা-টোমা নিয়ে তেড়ে আসবে।

যাইহোক, আমার প্রশ্ন হল আল্লাহ্ কেমন এবং তিনি কোথায় থাকেন। হযরত মোহাম্মদ যেহেতু সাত আসমানে (আসমান মানে আকাশ এবং আকাশ বলতে প্রকৃতপক্ষে কিছু নাই; খালি চোখের বিস্তৃতির কিছু দূরে নীল দেখায়, সেটাকেই মানুষ আকাশ বলে।) তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেহেতু ধরে নিলাম তিনি আসমানে থাকেন।

৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে মাজদায়ামনি ধর্মের প্রবর্তক জরথুস্ত্রের মতেও আহুরা মাজদা (ঈশ্বর) আকাশে অবস্খান করছেন। একদিন তিনি পাহাড়ের গুহায় ধ্যানমগ্ন, এমন সময় হঠাৎ এক দিব্য জ্যোতি আকাশ থেকে নেমে আসছে। তিনি ছিলেন আহুরা মাজদার দূত; ইসলাম ধর্মে যেমন জিবরাইল আল্লাহ্র দূত।

তো তার অবস্খান আকাশে এটা যখন মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায় তখন যদি শুনা যায় আকাশ বলতে কিছু নাই তখন কেমন জানি একটু কিন্তু কিন্তু লাগে।

আল্লাহ্র নিরানব্বইটা নাম ­ ইয়া জব্বারু, ইয়া কাদিরু , ইয়া জলিলু, ইয়া মালেকু ইত্যাদি। আমাদের বাংলাদেশে এই নামগুলো পুরুষরা দখল করে নিয়েছে। পুরুষের নামই কেন আল্লাহ্র নাম হবে? আল্লাহ্ কি তাহলে পুরুষ?

তিনি পুরুষ হন বা নারী হন মানুষের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে তিনি পুরুষের পক্ষে। কারণ ধর্মীয় সকল বিধি-বিধানে নারীদেরকে পুরুষের অধীনস্খ করা হয়েছে।

আল্লাহ্ পুরুষ হোন আর নারী হোন, আসমানে থাকুন আর নাই থাকুন তিনি আগের মত এখন আর পৃথিবীতে বিচরণ করেন না। এদন বাগানে তার হয়ত বেশী যাওয়া হয় না। পাহাড়-পর্বতের গুহায় তার দূত পাঠিয়েও কারো কানে কানে বলান না, পড়ো, তোমার প্রভুর নামে। এর একমাত্র কারণ মানুষ এখন কুসংস্কারের খোলস ছেড়ে সংস্কারের পথে পা বাড়িয়েছে।

অনলাইন : ২৫ অক্টোবর, ২০০৯  

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Archive
 
সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ