Banner
সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্র-শাসনে কি নারীর অংশগ্রহণ ছিল? — শামসুল আলম চঞ্চল

লিখেছেনঃ শামসুল আলম চঞ্চল, আপডেটঃ December 1, 2022, 12:00 AM, Hits: 623

প্রাচীন পৃথিবীর সভ্যতাগুলির মধ্যে আজকের সমগ্র পাকিস্তান ও ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতা ছিল এক অতুলনীয় সভ্যতা (সময়কাল ২৬০০ থেকে ১৯০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত)। এই সভ্যতা অনন্য ছিল তার নগরবিন্যাস ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বিচারে, ধনসম্পদের তুলনামূলক বৈষম্যহীনতায়, সভ্যতা নির্মাণ ও রক্ষায় তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ পদ্ধতির অনুসরণে ও বংশানুক্রমিক স্বেচ্ছাচারী রাজার পরিবর্তে সেই যুগের মত করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্রশাসনব্যবস্থার প্রয়োগে।[1] সাম্প্রতিক বিপুল প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের ফলে ও বিভিন্ন শাখায় আরো গবেষণার ফলে এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে। বর্তমান নিবন্ধে সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে।

যে সমস্ত প্রাচীন সভ্যতায় বংশানুক্রমিক শাসকরা শাসন করত সেখানে রাজাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদ কেন্দ্রীভূত হত, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে যার সাক্ষ্য পাওয়া যায়। সেখানে রাজধানী হত অন্যান্য বসতির চেয়েও অনেক বড়, রাজপ্রাসাদ ও মন্দির হত বৃহদাকার, রাজসমাধি থাকত মূল্যবান সম্পদ ও রত্নে পরিপূর্ণ। আশ্চর্য হবার মত বিষয় হল যে, সিন্ধু সভ্যতায় রাজপ্রাসাদ, মন্দির ও রাজসমাধি খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এছাড়া মহেঞ্জো-দাড়ো (পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে), হরপ্পা (পাকিস্তানের পাঞ্জাবে), রাখিগাড়ি (ভারতের হরিয়ানায়), ধোলাভিরা (ভারতের গুজরাটে), লোখাঞ্জোদাড়ো (পাকিস্তানের সিন্ধুতে), গানেরিওয়ালা (পাকিস্তানের পাঞ্জাবে), ইত্যাদি বৃহৎ বসতি বা নগরগুলির আয়তনের পার্থক্য খুব বেশী নয়। ফলে জোর দিয়ে বলার উপায় নাই যে, কোনটি সিন্ধু সভ্যতার রাজধানী ছিল। এখানকার নগর পরিকল্পনা ও বিন্যাসে জনকল্যাণমুখিতা ও ভারসাম্য, সম্পদ ও ক্ষমতায় বৈষম্যের তুলনামূলক অভাব, রাজাদের জীবিতকালের স্তুতির জন্য নির্মিত বৃহৎ শিল্পকর্ম ও মৃত্যুপরবর্তী কল্পিত জীবনের সুখের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ সমাধির অনুপস্থিতি, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের সাক্ষ্য না থাকা, অন্যান্য সভ্যতার চেয়েও অনেক বড় ও বিস্তীর্ণ অঞ্চলব্যাপী এক ধরনের সমরূপতা, বিকেন্দ্রীকরণের সাথে সমাজে নিয়ন্ত্রণের স্পষ্ট প্রমাণ – এই সকল বিষয় পর্যালোচনা করে শামসুজ্জোহা মানিক ও আমি বিভিন্ন লেখায় দেখিয়েছি যে, সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্র একজন রাজার বদলে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধি সমন্বয়ে কোনো সভা বা পরিষদ দ্বারা সম্মতির ভিত্তিতে পরিচালিত হত।[2] এই বিষয়ে কোনো কোনো গবেষকও কাছাকাছি মত প্রকাশ করেছেন।[3]

বর্তমান আলোচনায় কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্য থেকে এই বিষয়টি দেখাবার চেষ্টা করেছি যে, রাষ্ট্র পরিচালনায় এই পরিষদের সদস্যদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও অংশগ্রহণ ছিল। হরপ্পা থেকে বিশেষ ধরনের শিরোভূষণ সহ কিছু পোড়া মাটির নারী মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলি সংখ্যায় খুব বেশী না হলেও এই মূর্তিগুলি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে বলে মনে হয়। এই শিরোভূষণগুলি দুই ধরনের - কিছু টায়রা ও রেলিং বা ব্যাড়ার মত ‍ও কিছু ফুল দিয়ে সজ্জিত। একই ধরনের নারী মূর্তি মেসোপটেমিয়ার উরের রাজকীয় সমাধিতে পাওয়া গেছে।[4] রাজকীয় সমাধি থেকে পাওয়া সাক্ষ্য থেকে জানা যায় একই ধরনের শিরোভূষণ মেসোপটেমিয়ায় রাণীরা পরত বা রাজপরিবারে পরা হত।

হরপ্পা থেকে পাওয়া শিরোভূষণ-বিশিষ্ট কিছু নারীমূর্তি (সৌজন্যেঃ Sharri R. Clark, 2008)

সিন্ধু সভ্যতার যুগে মেসোপটেমিয় সভ্যতার সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও বিনিময় ছিল। বিশেষভাবে মেসোপটেমিয়ায় অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক ও দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায় যেখান থেকে জানা যায় যে সিন্ধু সভ্যতা থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র মেসোপটেমিয়ায় যেত। তবে তুলনায় মেসোপটেমিয়ার জিনিসপত্র সিন্ধু সভ্যতায় কম পাওয়া গেছে। এ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধারণা করেন যে, উভয় অঞ্চলের বাণিজ্যে সিন্ধু সভ্যতার প্রাধান্য ছিল। এছাড়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্য থেকে ধারণা করা হয় যে, সিন্ধু সভ্যতার কারিগররা মেসোপটেমিয়ায় সপরিবারে বসতি স্থাপনও করেছিল। সুতরাং মেসোপটেমিয়ায় পাওয়া শিরোভূষণ-বিশিষ্ট নারীমূর্তিগুলিতে সিন্ধু সভ্যতার কাছাকাছি ধরনের শিরোভূষণ-বিশিষ্ট নারীমূর্তির প্রভাব থাকা অসম্ভব নয়। মেসোপটেমিয়ায় পাওয়া কাছাকাছি ধরনের শিরোভূষণ-বিশিষ্ট নারীমূর্তিগুলি রাজকীয় সমাধিতে যেমন পাওয়া গিয়েছিল, তেমনি সেখানে একই ধরনের শিরোভূষণ রাজকীয় সমাধিতেও পাওয়ায় গিয়েছিল।[5] তবে এই বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ যে, এই ধরনের শিরোভূষণ সিন্ধু সভ্যতায় শুধুমাত্র পোড়ামাটির মূর্তিতে দেখা গেছে। এই ধরনের শিরোভূষণ বা মুকুট কোনো সমাধিতে বা অন্য কোথায়ও পাওয়া যায় নাই। সিন্ধু সভ্যতায় সীমিত কিছু অলংকার ও মৃৎপাত্র ছাড়া মৃতদেহের সাথে অন্য কিছু তেমন একটা দিতে দেখা যায় না।

হরপ্পা থেকে পাওয়া শিরোভূষণ-বিশিষ্ট আরো কিছু পোড়ামাটির নারীমূর্তি Anchor

(সৌজন্যেঃ Sharri R. Clark, 2008)

উরের রাজকীয় সমাধি থেকে পাওয়া রাণী পুয়াবির পূনর্নিমিত শিরোভূষণ

(সৌজন্যেঃ Sharri R. Clark, 2008)

সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন বসতিতে প্রচুর সংখ্যক নারীমূর্তি পাওয়া গেছে। কিন্তু অন্যান্য নারী মূর্তি থেকে এই ধরনের মূর্তিগুলির পার্থক্য করা যায়। এই মূর্তিগুলি দেখলে মনে হবে যেন, মাথায় মুকুট পরিহিত নারীমূর্তি। সেমোপটেমিয়ায় পাওয়া একই ধরনের নারীমূর্তির সাথে তুলনা করলে মনে হয় যেন এই মূর্তিগুলির সাথে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক ছিল। সিন্ধু সভ্যতায় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে সভা বা পরিষদ ছিল বলে ধারণা করা হয় সম্ভবত সেখানে নারীর অংশগ্রহণ ছিল। অন্য সকল মাটির মূর্তির মত এই ধরনের শিরোভূষণ-বিশিষ্ট নারীমূর্তিও শিশুদের খেলার সামগ্রী হিসাবে তৈরী করা হত বলে মনে হয়। আবার এমন হতে পারে এই ধরনের মূর্তি নির্মাণের পিছনে ক্ষমতাশালী নারীর পূজার ধারণাও থাকতে পারে। তবে এই সমস্ত নারীমূর্তি তৈরীতে রাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে মনে হয়। সিন্ধু সভ্যতায় রাষ্ট্রের অধীনে নির্মিত সীলে অংকিত ছবির উন্নত মানের সাথে তুলনা করলে এগুলির নির্মাণ শৈলী অনেক নিম্ন মানের।

সিন্ধু সভ্যতার সীলে অংকিত দেবতাদের সব ছবিই পুরুষ দেবতা ছিল বলে কিছু গবেষক সিন্ধু সভ্যতার সমাজ পুরুষ প্রাধান্য-বিশিষ্ট বলে মনে করেন।[6] কিন্তু আমরা মনে করি সীলে উৎকীর্ণ লিপি রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও সীলের ছবির উপর সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করত না। সীলে বণিক বা কারিগররা তাদের গোত্রীয় দেবতাদের ছবি আঁকত বলে আমরা মনে করি, যাতে রাষ্ট্রের অনুমোদন ছিল। এছাড়াও সিন্ধু সভ্যতার ৭০০ বৎসর সময়কালের প্রথম পর্যায়ের সীলগুলিতে লিপি উৎকীর্ণ থাকলেও ছবি কম দেখা গেছে।

হরপ্পাতে শিরোভূষণ-বিশিষ্ট যে সমস্ত নারীমূর্তি পাওয়া গেছে তা সিন্ধু সভ্যতায় হাপ্পান যুগের শেষ পর্বের অর্থাৎ ২২০০ – ১৯০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ও সম্ভবত কিছু পরবর্তী সময়ের। এই সময়ে সিন্ধু সভ্যতায় ধর্মের প্রাধান্য বৃদ্ধি পাচ্ছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকভা্বে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।[7] পূজার জন্য এগুলি তৈরী হলেও কেবলমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে কোনো গোষ্ঠীতে তা সিন্ধু সভ্যতার শেষ পর্যায়ে চালু হয়ে থাকতে পারে, যখন সেখানে নানা সংকটের কারণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ক্রমশ ধর্মের প্রভাব বাড়ছিল । হরপ্পা ছাড়াও মহেঞ্জো-দাড়ো ও অন্যান্য বসতি থেকেও বিভিন্ন ধরনের শিরোভূষণ যুক্ত পোড়ামাটির নারীমূর্তি পাওয়া গেছে, যেগুলির মধ্যে কিছু সংখ্যক মূর্তির শিরোভূষণ দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। এই নারীমূর্তির সাথেও রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক থাকতে পারে।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখন একমত যে, সিন্ধু সভ্যতার পতন হলেও মিসরীয় বা মেসোপটেমীয় সভ্যতার মত এর ঐতিহ্য হারিয়ে যায় নাই। বরং অনেক উপাদানই পরবর্তী ভারতীয় সমাজ ও সভ্যতায় রক্ষা পেয়েছে। সিন্ধু সভ্যতায় রাষ্ট্র পরিচালনার পরিষদে নারীর অংশগ্রহণ ছিল বলেই হয়ত, অনেক পরে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের সংঘে নারীর অংশ গ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়। এই উভয় ধর্মের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রাচীন কাল থেকেই উভয় ধর্মের পর্বসূরিদের মধ্যে নারী-সংঘ ছিল।[8] কোনো প্রাচীন সমাজের ধর্মে এই ধরনের ঘটনা তুলনাহীন।

প্রাচীন পৃথিবীর সকল সভ্যতা নির্মাণের পিছনে যুদ্ধ ও সহিংসতা একটি প্রধান ভূমিকা রেখেছিল। এটি প্রাচীন মিসর, মেসোপটেমিয়া বা চীনের সভ্যতার ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সিন্ধু সভ্যতা শুরু থেকেই মূলত শান্তিপূর্ণ ধারায় বিকাশ লাভ করায় ও সেখানে যুদ্ধের প্রাধান্য না থাকায় অনুমান করা যায় যে, এই সমাজে নারীর ভূমিকা অন্য সমাজের মত খর্ব হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরী হয় নাই।  ফলে রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা থাকা অসম্ভব নয়।

সাম্প্রতিক বিপুল প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ফলে সিন্ধু সভ্যতার অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যের অনেক কিছুই ক্রমশ আমাদের সামনে উদ্ভাসিত হচ্ছে। হয়ত আগামীতে আরো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা লব্ধ জ্ঞান থেকে  সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্র ও সমাজে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে আরো স্পষ্টভাবে  আলোকপাত করা সম্ভব হবে।

 

সূত্র :

[1] সিন্ধু সভ্যতার এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে শামসুজ্জোহা মানিক ও আমি যৌথেভাবে ও এককভাবে বিভিন্ন লেখায় আলোচনা করেছি।

[2] আগ্রহী পাঠক আমাদের উভয়ের লেখা ‘সিন্ধু থেকে গঙ্গাঃ এক সভ্যতার পথযাত্রা, প্রথম খণ্ড’ পড়ে দেখতে পারেন। লেখাটির লিঙ্কঃ http://bangarashtra.net/article/1538.html

[3] সিন্ধু সভ্যতায় প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থার কথা কোনো কোনো গবেষক উল্লেখ করেছেন। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ও গবেষক গ্রেগরী পোসেল সিন্ধু সভ্যতায় রাজার বদলে বহুসংখ্যক কাউন্সিল বা সমাজ-নেতাদের দ্বারা শাসিত হত বলে মত প্রকাশ করেছেন। দেখুনঃ G. L. Possehl, The Indus Civilization: A Contemporary Perspective, Walnut Creek: Rowman & Littlefield Publishers 2002, p. 57.

এছাড়া কাছাকাছি মত পোষণ করেন গবেষক লোরেঞ্জ রাহমস্টর্ফ। দেখুনঃ Lorenz Rahmstorf, Control Mechanisms in Mesopotamia, the Indus Valley, the Aegean and Central Europe, c. 2600-2000 BC, and the Question of Social Power in Early Complex Societies, in, Beyond Elites: Alternatives to Hierarchical Systems in Modelling Social Formations, International Conference at the Ruhr-Universität Bochum, Germany, October 22-24, 2009, Volume 2, Verlag Dr. Rudolf Habelt GmbH, Bonn, 2012, p. 322.

[4] দেখুনঃ Sharri R. Clark, Deconstructing the ‘Harappan Courtiers’: A Re-evaluation of Some of the Anthropomorphic Terracotta Figurines from Harappa, in, Intercultural Relations between South and Southwest Asia, eds., E. Olijdam & R.H. Spoor, BAR International Series 1826, 2008, p. 171.

[5] দেখুনঃ প্রাগুক্ত, পৃঃ ১৬২, ১৬৩।

[6] গবেষক ভগবান সিং এই মত পোষণ করেন। তাঁর মন্তব্যের জন্য দেখুনঃ Bhagwan Singh, The Vedic Harappans, Aditya Prakashan, New Delhi, 1995, P. 425.

[7] এই বিষয়ে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক জোনাথান মার্ক কেনোয়ার বলছেনঃ `… recent excavations at Haṛappā indicate that examples of narrative art are found more commonly in the latest levels of the site, dating to around 2200-1900 BCE. This pattern suggests that after several hundred years of urbanism, there was an urgent need to depict and thereby legitimize specific religious figures, narrative myths and scenes of worship. It is from these images that we can begin to understand the complexity of Haṛappan ideology and the mythology that accompanied it.’ দেখুনঃ Jonathan Mark Kenoyer, New Perspectives on the Indus Tradition: Contributions from Recent Research at Haṛappā and Other Sites in Pakistan and India, in, Sindhu-Sarasvatī Civilization: New Perspectives, ed., Nalini Rao, Published by Nalanda International, Los Angeles and D.K. Printworld (P) Ltd., New Delhi, 2014, p. 521.

[8] এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে শামসুজ্জোহা মানিক ও আমার যৌথ গ্রন্থ ‘সিন্ধু থেকে গঙ্গাঃ এক সভ্যতার পথযাত্রা, দ্বিতীয় খণ্ড’-এ। বঙ্গরাষ্ট্র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখাটির লিঙ্কঃ http://bangarashtra.net/article/1546.html

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Archive
 
সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ