Banner
নিন্দিত ও প্রতারিত বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ─ শামসুজ্জোহা মানিক

লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক, আপডেটঃ June 29, 2015, 12:00 AM, Hits: 1340

 

পাকিস্তান আমল থেকে আমি বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিরোধী বক্তব্যের সাথে পরিচিত। তখন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিরোধী বক্তব্যটা আসত সাধারণত দুই দিক থেকে। এক দিকে অবস্থান করত মার্কসবাদী বা কমিউনিস্ট নেতৃত্ব, অপর দিকে অবস্থান করত যারা ইসলাম অনুরাগের কারণে পাকিস্তানের সমর্থক ছিল তারা।
 
পাকিস্তানের পক্ষপাতী যারা ছিল তাদের বক্তব্য সহজ ছিল। তারা ইসলামের রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানকে যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে চাইবে সেটা স্বাভাবিক ছিল। অপর দিকে, ইসলামী উম্মা বা সম্প্রদায় চেতনার বিরুদ্ধ শক্তি হিসাবে তারা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে দেখতে পেত। সুতরাং ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ হিসাবে বাঙ্গালীত্বের বোধকে তারা যে ভয় পাবে এবং অপছন্দ করবে সেটা স্বাভাবিক ছিল।
 
কিন্তু বাঙ্গালী জাতি চেতনা বা জাতীয়তাবাদের প্রতি কমিউনিস্ট নেতৃত্বের বিরোধিতা ছিল আশ্চর্য রকম স্ববিরোধিতাপূর্ণ। পাকিস্তানের বঞ্চিত জাতিসত্তা বাঙ্গালীর স্বাধিকার আন্দোলনের প্রকাশ হিসাবে স্বায়ত্তশাসনের দাবীর প্রতি তাদের সমর্থন থাকলেও সেটা ছিল খুব সতর্ক এবং অনেক সময়ই ভীতিপূর্ণ। তাদের সব সময় ভয় থাকত জাতিবোধ বা জাতীয়তাবাদ কখন না উগ্র হয়ে অন্যান্য জাতির বিরুদ্ধে বিদ্বেষী, আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী হয়ে উঠে। সবচেয়ে বড় কথা তারা সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদের পূজারী ছিল। কাজেই জাতিতে জাতিতে দ্বন্দ্ব ও বিরোধে তারা বিশ্বাসী ছিল না। তাদের শত্রু প্রকৃতপক্ষে নিপীড়ক জাতিও নয়, বরং পুঁজিপতি ও ধনিক শ্রেণী সেটা নিজ জাতির হোক আর ভিন্ন জাতির হোক। তারা শ্রেণীর উপর জাতিকে স্থান দিতে প্রস্তুত ছিল না। সুতরাং সর্বহারা বা শ্রমিক শ্রেণীকে ছাপিয়ে জাতির বড় হয়ে উঠার সব পথ বন্ধ রাখার সাধনায় তারা প্রায় সর্বদা ব্যস্ত থাকত। তাদের নিকট জাতি বা জাতি-চেতনা ছিল প্রকৃতপক্ষে শ্রেণী বা শ্রেণী চেতনার বিরুদ্ধ শক্তি। সেটা জাতি নিপীড়িত হলেও।
 
সুতরাং পাকিস্তান কালে যখন এ দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রবল প্রভাব ছিল তখন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রতি কমিউনিস্ট নেতৃত্বের বিরোধিতার বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ আমরা দেখতে পেতাম। অবশ্য সবাইকে এক কাতারে ফেলাটা আবার ভুল হবে। কারণ জাতীয়তাবাদের বিকাশে একটা পর্যায়ে কমিউনিস্টদের অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশী। পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনে একটা সময় পর্যন্ত তাদের ভূমিকা ছিল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আবার স্বাধীনতার রাজনীতির বিকাশও ঘটে প্রথমে কমিউনিস্টদের ভিতর থেকেই। কিন্তু সেটা ঘটে প্রধানত কমিউনিস্টদের তরুণতর অংশের ভিতর থেকে, যারা কমিউনিস্ট আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও নেতৃত্বের অংশ ছিল না। তাদেরকে আধা কমিউনিস্ট বলাটাই সঙ্গত, যারা মার্কসবাদকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করলেও তারা একটা ধর্মবিশ্বাস মুক্ত তথা লোকবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে নিজেদের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রাখার হাতিয়ার হিসাবে জাতীয়তাবাদকে দেখতে পেত। এরা ছিল প্রধানত ছাত্র। এটা ঠিক যে এ ক্ষেত্রে তাদের যে তত্ত্বগত খুব একটা পরিপক্বতা ছিল তা নয়। কিন্তু তারা জাতীয়তাবাদকে সমাজতন্ত্র ও আন্তর্জাতিকতাবাদের সহযাত্রী ও পরিপূরক হিসাবে নিয়েছিল। জাতীয়তাবাদী হয়েও তাদের পক্ষে এ দেশের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিসত্তার অধিকারের পক্ষ নিতেও সমস্যা হয় নাই।
 
এই জায়গায় তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জাতীয়তাবাদের পার্থক্য। অবশ্য স্বাধীনতার জায়গায় যেতে আওয়ামী লীগের অনেক সময় লেগেছিল। তবে স্বায়ত্তশাসনের যে আন্দোলন তারা ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেওয়ার পর থেকে শুরু করেছিল সেখানেও বাঙ্গালী চেতনা ছিল অনেক স্থূল এবং উগ্র। এর প্রকাশ  আমরা ’৭১ এবং ’৭২ কালপর্বে বিহারী বিরোধী কর্মকাণ্ডে দেখতে পাই। শুধু বিহারীদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। বিপুল সংখ্যক বিহারীকে এই সময় হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হয়েছে বিরাটায়তনে লুণ্ঠন এবং ব্যাপক সংখ্যক বিহারী বা পশ্চিমা নারী ধর্ষণ। এই কথাগুলা কিন্তু সাধারণভাবে কোনও লীগ জাতীয়তাবাদী এবং মানবতাবাদী বলে না। আওয়ামী লীগের না হয় বোধ-বুদ্ধি এবং চরিত্রই এমন। সুতরাং তাদের কথা বাদ দেওয়া যাক। কিন্তু যে সব মানবতাবাদী জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করেন এটা মানুষকে বিভক্ত ও অন্য জাতির বিরুদ্ধে নেয় এই যুক্তি তুলে তারা প্রায় কেউ কেন এত বড় একটা ঐতিহাসিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনই কথা বলেন নাই?
 
এমনকি ১৯৭২ থেকে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী জাতিসত্তার উপর অত্যাচারের স্রোত প্রবাহিত করা হল তখনও কেন এই সব মানবতাবাদী কিংবা তাদের সহযাত্রী আন্তর্জাতিকতাবাদীদেরও প্রায় সকলের কণ্ঠ দীর্ঘকাল নিশ্চুপ ছিল? তাদের অধিকাংশই অনেক পরে কথা বলেছিলেন। তার অনেক আগে সংখ্যালঘু জুম্ম জাতির জনগণ আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একটা পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ সরকারকে বাধ্য করে তাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদনে। এই চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরে। সুদীর্ঘ কাল প্রায় নিশ্চুপ থাকবার পর নিরাপদ পরিস্থিতি বুঝে এই সময় সংখ্যালঘু জাতিগুলির অধিকারের পক্ষে কথা বলতে শুরু করেন বাঙ্গালী মানবতাবাদী ও আনন্তর্জাতিকতাবাদীদের মধ্যে কেউ কেউ। এই হল এ দেশের বাঙ্গালী মানবতাবাদী ও আন্তর্জাতিকতাবাদীদের অধিকাংশেরই মানবতাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের নমুনা!
 
পাকিস্তান কালে ‘উগ্র’ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ভয়-কবলিত কমিউনিস্ট নেতৃত্বের কর্মনীতির ফল হচ্ছে আওয়ামী লীগের মত ন্যায়-নীতি বোধহীন, কখনও সেকিউলারের লেবাসধারী কিন্তু মর্মবস্তুতে সর্বদাই ইসলামী সাম্প্রদায়িক, লুটেরা এবং লুম্পেন রাজনৈতিক শক্তির হাতে এ দেশের জাতীয় আন্দোলনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া। যার ফল এ দেশের অবাঙ্গালী সকল জাতিসত্তার মানুষদের জন্য যেমন মর্মন্তুদ হয়েছে তেমন বাঙ্গালী জনগণের জন্যও হয়েছে অতীব ক্ষতিকর। যদি কমিউনিস্ট নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদের যথাযথ ব্যবহার দ্বারা তাকে একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক, সকল জাতির প্রতি মর্যাদা বোধ সম্পন্ন এবং ন্যায়-নীতি বোধ সম্পন্ন জাতীয়তাবাদে পরিণত করত তাহলে কিন্তু আওয়ামী লীগের মত একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ও লুটেরা দলের হাতে এ দেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব অন্তত এভাবে নাও যেতে পারত।
 
অবশ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বাভাবিকভাবে ভারতের হস্তক্ষেপ ঘটত। এবং সেই সঙ্গে এটাই স্বাভাবিক যে ভারত আর যা-ই হোক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে বামপন্থীদেরকে সাহায্য করত না। কারণ বামপন্থীরা তৎকালীন পূর্ব বঙ্গকে স্বাধীন করে তার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের রেখে যাওয়া সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে ধারাবাহিকতা পাকিস্তান কালে ছিল সেটার অবসান ঘটাত। এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে বর্তমান ভারত-রাষ্ট্রও এই একই ব্যবস্থার উত্তরাধিকারী। সুতরাং বামপন্থীদের নেতৃত্বে যুদ্ধ শুরু হলেও ভারত সেই কাজটিই করত যা তা একাত্তরে করেছিল। বামপন্থীদের পরিবর্তে আওয়ামী লীগকেই তা সব রকম সাহায্য, সহযোগিতা ও আশ্রয় দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে নিত। আর এত বড় শক্তি ভারতের বিরোধিতার মুখে যে সেকালে বামপন্থীদের পক্ষে পূর্ব বঙ্গকে স্বাধীন করে এখানে তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত না সেটা সহজবোধ্য। কিন্তু জাতীয়তাবাদের সঠিক ব্যবহার দ্বারা বামপন্থীরা জাতীয়তাবাদের একটা মানবিক ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা করতে পারত যা হতে পারত আওয়ামী লীগের লুম্পেন ও প্রতারক জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয়তাবাদের নামে ইসলামী সাম্প্রদায়িকতাবাদের বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী রক্ষাব্যূহ।
 
১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বামপন্থী বা কমিউনিস্ট নেতৃত্বের এই ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে এই জাতিকে। আওয়ামী লীগ লুটপাট করার সময়ও মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদের নাম নিত। কারণ এগুলি ছিল তার জন্য যাবতীয় আকাম-কুমাম করার চমৎকার হাতিয়ার। এর ফলে জাতীয়তাবাদ ও সেকিউলার বা লোকবাদী চেতনার যে মর্যাদাহানি ঘটল তার সুযোগে উত্থান ঘটল নগ্ন রূপে ইসলামী রাজনীতির। আওয়ামী লীগের পতন পরবর্তী কালে বিএনপি-এর নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে, যেটা প্রকৃত পক্ষে বাঙ্গালী মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাবাদের কৌশলী নামকরণ। যে কথাটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মনের ভিতরে ছিল সে কথাটা বিএনপি নেতৃত্ব মুখে বলে দিল। আওয়ামী লীগের দ্বিচারিতার অবসান ঘটাল বিএনপি। আসলে মুজিবের আরব্ধ কাজ সম্পন্ন করলেন জিয়া। আর এভাবে তিনি আওয়ামী লীগকে বিপদেও ফেললেন। কারণ আওয়ামী লীগের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ প্রকৃতপক্ষে বাঙ্গালী মুসলমানের ‘জাতীয়তাবাদ’। অবশ্য এটাকে যদি আদৌ জাতীয়তাবাদ বলা যায়। কিন্তু এটা প্রকৃতপক্ষে ইসলামী সাম্প্রদায়িকতা, তবে সেখানে বাঙ্গালীত্বের একটা জায়গাও আছে। অবশ্য সেটা সুবিধার প্রয়োজনে। আওয়ামী লীগের বাঙ্গালী হওয়া আর মুসলমান হওয়া কোনও নীতি বা আদর্শের বিষয় নয়। মুহূর্তে বাঙ্গালী হওয়া, মুহূর্তে মুসলমান হওয়া আবার মুহূর্তে বাঙ্গালী মুসলমান হওয়ার ভেলকি দেখানো একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব। মুহূর্তে ভোল পাল্টানো তার জন্য কোনও ব্যাপারই না। আওয়ামী লীগকে চিনতে পারতে হবে বাঙ্গালী মুসলমান জনগোষ্ঠীর চরম নীতিহীন, প্রতারক ও সুবিধাবাদী অংশের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী শক্তি হিসাবে।
 
যাইহোক, পাকিস্তান কালে কমিউনিস্ট নেতৃত্বের প্রভাবে বামপন্থীদের পক্ষে সঠিকভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি গড়ে তুলতে না পারায় ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড ও দুঃশাসনের ফলে জাতীয়তাবাদী চেতনায় যে সঙ্কট ও শূন্যতা সৃষ্টি হল ইসলাম নির্ভর ‘জাতীয়তাবাদী’ রাজনীতি এসে সেই শূন্যতাকে পূরণ করল। জেনারেল জিয়া এই রাজনীতির নামকরণ করলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। সেই রাজনীতিই চলছে আজ অবধি নানান রূপে। ’৭৫ পরবর্তী কালে আমরা এর বিকাশ এবং আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা দেখতে পেলেও এর যাত্রা মর্মগতভাবে শুরু হয়েছিল ’৭২ থেকেই। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ এবং শেখ মুজিবের হাত দিয়েই এই ধারার যাত্রা শুরু। ১৯৪৭-এ ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত বঙ্গের পূর্ব অংশে সীমাবদ্ধ বাঙ্গালী মুসলমানদের জাতীয়তাবাদ তো মর্মগতভাবেই ইসলামী সাম্প্রদায়িক ─ এটাকে বড় জোর বলা যায় বাঙ্গালী মুসলমানের জন্য জাতীয়তাবাদ যেখানে বাঙ্গালী মুসলমানদের বাইরের কারও জায়গা নাই।
 
অনেকে অবশ্য জাতীয়তাবাদ নিয়ে চিন্তার কোনও প্রয়োজনই দেখেন না। কারণ উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন, উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠন এসব তাদের ভাবনার বিষয় নয়। সহজে নামডাকের জন্য অথবা সস্তায় বাজিমাতের জন্য যা যা করা এবং বলার দরকার তা-ই তো তারা করবেন এবং বলবেন। যত নামডাক ওয়ালা হোন এরা সবাই সহজ পথের পথিক, খাঁটি সহজিয়া। সুতরাং জাতি গঠন হয়েছে কি হয় নাই, অথবা জাতি গঠনের সমস্যা কী কিংবা জাতি গঠনের সঙ্গে রাষ্ট্র গঠনের সম্পর্ক কী ─ এসব নিয়ে তাদের ভাববার সময় এবং প্রয়োজন কোথায়?  

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Archive
 
সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ