লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক, আপডেটঃ November 6, 2024, 12:00 AM, Hits: 130
(১)
সম্প্রতি সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড কর্মতৎপরতা চলছে। এখন ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতার বলে বলীয়ান হয়ে সেনাসদস্যরা প্রবল উৎসাহে মদ্যপান নিরোধ আর নারীদের দেহব্যবসা দমনের কাজে নেমেছে। এখন কোথায় কার কাছ থেকে মদ জব্দ করছে আর কোন হোটেল বা আবাস থেকে দেহ ব্যবসায়ে লিপ্ত নারীদের খরিদ্দারসহ হাতেনাতে ধরছে তার সচিত্র বিবরণ প্রচারে প্রচারমাধ্যম এবং বিশেষত কিছু ইউটিউব চ্যানেলের উৎসাহ চোখে পড়বার মতো।
বুঝা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর যে মূল কাজগুলা করবার কথা সেগুলা বাদ দিয়ে নীতিপুলিশের দায়িত্ব পালনের প্রতিই তাদের এখন উৎসাহ। সুতরাং অস্ত্র উদ্ধার কিংবা সন্ত্রাসী ও পলাতক হাসিনার দানবীয় সরকারের দুর্বৃত্তদের ধরবার কাজ বাদ দিয়ে বা গৌণ করে তারা এখন সমাজের বিদ্যমান মূল্যবোধ বা ধারণা প্রতিষ্ঠাটাকেই প্রধান কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছে। এবং এ ক্ষেত্রেও তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশ নারী।
আসলে জনমতকে বোকা বানানোর জন্য এবং জনগণের দৃষ্টিকে ভুল দিকে নিবার জন্য এটা অনেক পুরাতন খেলা। ক্ষমতা দখলের ছুতা তৈরীর জন্য ও ক্ষমতা দখলকে জনগ্রাহ্যতা দেওয়ার জন্য সামরিক একনায়ক এরশাদও দুর্নীতি দমনের নামে এমনসব কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশে মার্কিন-ভারতের প্রভুত্বকে নিরঙ্কুশ ও বাধামুক্ত করার জন্য ২০০৭ সালের জানুয়ারীতে জেনারেল মইনউদ্দীন রাষ্ট্র ক্ষমতা করায়ত্ত করার পর সেনাবাহিনী নীতিপুলিশের ভূমিকা নিয়ে কীসব কাজ করেছিল তার সবটা আমরা এখনও ভুলে যাই নাই। এক রিকশায় তিনজন উঠার কারণে রাজশাহী শহরে প্রকাশ্য রাস্তায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীকে কান ধরে উঠবোস করানোর মত অমার্জনীয় অপরাধ করেছিল জনৈক সামরিক অফিসার।
সেনাবাহিনীর এ ধরনের যথেচ্ছাচার অনেকটা সংযত হয় ২০০৭-এর আগস্টে নিজেদের পাছায় ছাত্রদের পায়ের লাথি খাবার পর। শাহবাগ মোড়ের নিকট জনৈক সেনা সদস্যের পাছায় ক্রুদ্ধ এক ছাত্রের লাথি খেয়ে উড়ন্ত অবস্থায় দূরে ছিটকে পড়ার ছবি তখন আমি সংবাদপত্রে দেখেছিলাম।
(২)
আমার বক্তব্য হচ্ছে সেনাবাহিনীকে এসব ফালতু কাজে নিয়োজিত করা অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক হতে পারে। সেনাবাহিনীকে তৈরী করা হয় মূলত যুদ্ধ করার জন্য। এছাড়া বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলার জন্য বেসামরিক প্রশাসন কিংবা ব্যবস্থাপনার সহায়তায় তার ব্যবহার হতে পারে। বাংলাদেশে এখন একটা অস্বাভাবিক অবস্থা চলছে। কারণ পুলিশ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। সেটা তার করতে পারার কথাও নয়। বিগত জুলাই-আগস্টের মাত্র কয়েক দিনে পুলিশ কীভাবে নিজ দেশের প্রায় দেড় হাজার মানুষকে পাখীর মতো গুলি করে হত্যা করেছে, আরও কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার মানুষকে পিটিয়ে ও গুলি করে আহত করেছে যাদের মধ্যে শত শত বা কয়েক হাজার মানুষ এখন পঙ্গু এমনকি তাদের অনেকে এক চোখ বা দুই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছে সেটা যারা জানেন তারা বুঝবেন যে, এই পুলিশের নৈতিকতার মান কোন পর্যায়ের।
আসলে ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রাণভয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দানব শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর তার দানবীয় শাসনের প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত পুলিশ বাহিনীকে বাতিল করে নূতনভাবে পুলিশ বাহিনী গঠন করা উচিত ছিল। সব পুলিশ বাদ দেওয়ার কথা বলি না। কিন্তু পুলিশের পুনর্গঠন দরকার ছিল। যারা হাসিনার দানবীয় শাসনের যন্ত্র হিসাবে কাজ করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং তার সঙ্গে থাকা জনগণের মধ্য থেকে তরুণদের নিয়ে নূতন করে পুলিশ বাহিনী গঠন করা উচিত ছিল।
এখন পুলিশের কাজ পুলিশ করছে না বা করতে পারছে না। এর ফলে সে কাজ করার জন্য এখন সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর যে কাজগুলা করা উচিত ছিল সেসব যদি না করা হয় তবে তার ফলাফল যে শুধু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে পারে তা-ই নয়, উপরন্তু ইউনূস নেতৃত্বাধীন যে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনীকে এভাবে নামানো হয়েছে তার বিরুদ্ধেও যেতে পারে।
বিশেষ করে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে মদ বাজেয়াপ্ত কিংবা তা রাখার দায়ে গ্রেফতার এবং দেহব্যবসার অভিযোগে মেয়েদের গ্রেফতার অত্যন্ত বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ডঃ ইউনূস সভ্য পৃথিবীর যে জায়গা থেকে আজ এখানে এসেছেন সেখানে কি মদ পেলে কাউকে এভাবে হেনস্থা বা গ্রেফতার করা হয? আমি জানি না তিনি মদ পান করেন কিনা; তবে এটুকু জানি যে, তিনি পৃথিবীর যে সমাজে অবস্থান করেছেন সেখানে এটা কোনও অপরাধ তো নয়ই, এমন কি অনেক ক্ষেত্রে এটা একান্ত স্বাভাবিক জীবনাচার। শুধু অন্যের সমস্যা না করলে হল। নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্কের বিষয়টাকেও উন্নত পৃথিবীতে ভিন্নভাবে দেখা হয়। এটাও মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অংশ। তবে এ ক্ষেত্রেও সব স্বাধীনতার মতো কিছু নিয়ম আছে, যার মূল কথা অন্যের মর্যাদা ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা বা অন্যের ক্ষতি না করা।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এসব কী করছেন? বাংলাদেশকে ইউরোপ-আমেরিকা বানাতে বলছি না। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ন্যূনতম মানদণ্ডের প্রতি এমন অবিবেকপূর্ণ মধ্যযুগীয় আচরণকে আমি ক্ষমার অযোগ্য আচরণ হিসাবে গণ্য করি। বিশেষত নীতিপুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেনাদের নারীদের প্রতি এমন আচরণ দ্বারা অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ইউনূস দেশটাকে কোন্ মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নিতে চান সেই প্রশ্ন মনে জাগে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের নাম উল্লেখ করে শতশত ধৃত ছাত্রী বা নারীদের ভিডিও প্রচার করে শুধু যে ঐ ছাত্রী বা নারীদের জন্য সামাজিক বিপর্যয় ঘটানো হচ্ছে তা-ই নয়, অধিকন্তু ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও জনসমক্ষে হেয় করা হচ্ছে।
যারা এ দেশে হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুঠের মহোৎসব করেছে, যারা দেশের অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে গুম এবং খুন করেছে, যারা হাসিনার দানব সরকারের প্রশ্রয়ে দখলদারি ও নির্যাতনসহ যাবতীয় অপকর্ম করে বেড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এই উৎসাহটা দেখালে কি ভালো হত না? না, সেসব কাজকে গৌণ এমনকি বাদ দিয়ে এখন আমাদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও কোণঠাসা যে অংশ সেই নারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ করতে নামানো হয়েছে। এই নীতিপুলিশদের সঙ্গে এখন আবার নামানো হয়েছে সাংবাদিকদের একাংশকেও।
এদের ভূমিকা থেকে মনে হয় যেন এ সমাজ কতটা ন্যায়-নীতিনিষ্ঠ! ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা উচিত! ধর্ষণসহ নারীদের প্রতি অহরহ কৃত কয়টা অসম্মান ও নির্যাতনের বিচার এখানে করা হয়? শুধু তা-ই নয়, সমাজের সর্বত্র অহরহ নারীকে হেয় করে চলার প্রবণতা এ সমাজের অস্থি-মজ্জায় নিহিত রয়েছে। সমাজের বিদ্যমান ধর্ম নারীর মানবেতর অবস্থাকে আরও ভয়াবহ করে রেখেছে। এই অবস্থা থেকে আধুনিক শিক্ষার মানবিকতার আলোয় আলোকিত হয়ে সমাজের একটা অংশ ও সেই সাথে নারীরাও মধ্যযুগীয় বর্বরতার চেতনা থেকে বেরিয়ে আসার সংগ্রাম করছে। সব সংগ্রামে কিছু বাড়াবাড়ি হতে পারে। কিন্তু সেই জন্য কি সমাজের দুর্বলতর অংশের উপর যে কোনও ছুতায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে?
যে মেয়েদেরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তারা হয়ত প্রচলিত সামাজিক বিচারে সীমা লঙ্ঘন করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক বর্বর হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? গ্রামীণ ব্যাংক করতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস কি এই শিক্ষাই অর্জন করেছেন?
এখন একটা লড়াই করে যারা এ সমাজের অচলায়তন ভাঙ্গছে তাদের সকলের আচরণ যে মাপা বা হিসাব মাফিক হবে এমন কোনও কথা নাই। কিন্তু প্রচলিত সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী তাদের কিছু ভুল হলেও তার বিচারে অতীব সতর্ক হতে হয় বলে আমি মনে করি। ইউনূসের এই ভূমিকাকে আমার মনে হয়েছে হৃদয়হীন ও অবিবেচনা প্রসূত। এখন পুনরায় আমার প্রশ্ন, গ্রামীণ ব্যাংক করার সময় কোন্ মনোভাব নিয়ে তিনি নারীদের বিষয়ে ভূমিকা রাখতেন? নাকি সেখান থেকে এমন নীতিপুলিশের শিক্ষা নিয়ে এসেছেন?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবী অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার পাল্টা আক্রমণে কিছু সংখ্যক পুলিশও প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু সেটা কি অভ্যুত্থানের শক্তির অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে? তাহলে তো হানাদার সেনা এবং দেশ ও স্বজাতি রক্ষায় যুদ্ধরত সেনা উভয় পক্ষের হত্যার দায় সমান হবে! কিন্তু কোনও কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কি এমন বিচারের পক্ষে রায় দিবে? সমাজের বিদ্যমান রক্ষণশীলতার বৃত্ত ভাঙ্গতে গিয়ে যেসব নারী আপাতদৃষ্টিতে আপত্তিকর আচরণ করছে তাদের প্রতি বিচারের দৃষ্টিভঙ্গীতেও থাকতে হবে সহনশীল বিবেচনা। এরা ভুল করতে পারে। কিন্তু সেটা গর্হিত কোনও অপরাধ নাও হতে পারে, যদি তারা শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের মতো উন্মত্ত লুঠ ও অপকর্ম করে দেশ ও দশের সর্বনাশ না করে।
মেয়েরা মদ খাচ্ছে কিংবা দেহব্যবসা অথবা দেহসম্ভোগ করছে! সেটা তারা স্বইচ্ছায় করছে। কারও ক্ষতি না ক’রে এবং শালীনতার সীমা লঙ্ঘন না ক’রে করলে হল। কারও পছন্দ না হলে তারা নীতি প্রচার করে বেড়াবেন, বুঝাবেন। কিন্তু জবরদস্তি করতে পারবেন না। সভ্যতার নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন ক’রে এই জবরদস্তির কাজটাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার ও তার সেনাবাহিনী। তারা যা করছে তাতে প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ কথাও বলতে পারবে না। পার্কে বা হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে আলাপ করা তো দূরের কথা।
বিগত দানব মাফিয়া সরকারের আমলে নির্ভরযোগ্য প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে এমন ঘটনা ঘটার কথাও আমি জানি যে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার কারণে পুলিশ ছেলে-মেয়ে দুইজনকে তুলে নিয়ে গেছিল। বুঝাই যায় মূল উদ্দেশ্য ছিল ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দেওয়া। এ ধরনের আরও অনেক ঘটনার কথা শুনেছিলাম। বিশেষত পার্কে বসে ছেলেমেয়েদের কথা বলার সময় কখনও পুলিশ অথবা লীগ দলীয় মাস্তানরা চাঁদাবাজী করত। পশ্চিমা পৃথিবী ঘুরে এসে এখন ইউনূস কি দেশটাকে মধ্যযুগীয় নীতিপুলিশীর নামে চাঁদাবাজীর স্বর্গরাজ্যে পরিণত করতে চাইছেন? নাকি এ সবকিছু তার অগোচরে হচ্ছে? তাহলে কার এত উৎসাহ নীতিপুলিশীতে? সেনাপ্রধান হিসাবে জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের?
(৩)
বাংলাদেশে হাসিনার পলায়ন পরবর্তী কালে এখন রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। ইউনূস সরকার এখনও হাসিনার রেখে যাওয়া ব্যবস্থাকে সেভাবে সরাতে পারে নাই। একটা খুব বিপজ্জনক অবস্থায় এখনও রাষ্ট্রটা আছে। অর্থাৎ আমরা আছি। আমাদের অবস্থা ঘরপোড়া গরুর মতো। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরাই। এ দেশে অনেক বার সেনা হস্তক্ষেপের অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সুতরাং সেনাবাহিনীর বর্তমান ভূমিকা থেকেও সেনাপ্রধান ওয়াকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। হাসিনার পলায়নের ব্যবস্থা করা, হাসিনা সরকারের ঘাতক পুলিশসহ সরকারের শতশত দুর্বৃত্তকে ক্যানটেনমেন্টে আশ্রয় প্রদান ও নিরাপদে পলায়নের ব্যবস্থা করে দেওয়ার মাধ্যমে এমনিতেই সেনাপ্রধানের ভূমিকা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার উপর হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর এমন নীতিপুলিশী ভূমিকা আমাদের সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করছে।
এ দেশের পশ্চাৎপদ ও প্রতিক্রিয়াশীল জনমনে সহজে সমর্থন সৃষ্টির জন্য এটা একটা কৌশল নয়ত? তাই আসল কাজ বাদ দিয়ে একটা ফালতু কাজে সেনাবাহিনীকে নামানো আর দৃষ্টিটাকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া! হাসিনার রেখে যাওয়া ব্যবস্থা অটুট থাকায় একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হতে থাকবে, অপর দিকে, নীতির ফানুস উড়িয়ে উপযুক্ত সময়ে সেনাবাহিনী জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার দিকে হাত বাড়াবে — সেটা যেন না হয় সেই দিকেই দৃষ্টিটা রাখতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শক্তিকে।
৬ নভেম্বর, ২০২৪