লিখেছেনঃ মো: নুর হোসেন পাটওয়ারি, আপডেটঃ March 8, 2009, 12:00 AM, Hits: 1428
বৃটিশ দ্বারা আনীত আধুনিক শিক্ষার ফলশ্রুতিতে যে রেনেসাঁ রাজা রামমোহনের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল তার ব্যাপ্তি ও ফলপ্রসূতা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাঙ্গালী সমাজকে আলোকিত করে রেখেছিল। ’৬০-এর দশকের যে শিক্ষা আন্দোলন, আলোকিত মানুষের আলোকিত রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্ন, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে আকাঙ্ক্ষা তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যায় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে। এই সংবিধানে রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা কী হবে তারই দিক নির্র্দেশনা রয়েছে, যা নিম্নরূপ।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ (ক)-তে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতা-মূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।”
উল্লেখ্য এখানে একই পদ্ধতির অর্থ বড় লোকদের জন্য এক রকম এবং দরিদ্রদের জন্য আর এক রকম এরূপ নয়, এক ধর্মের লোকদের জন্য এক রকম এবং অন্য ধর্মের লোকদের জন্য অন্য রকম এ রকম নয়, পাঠ্যক্রম বিভিন্ন নয়, এক রকম। সকল বিদ্যায়তনে একই রকম সুযোগ সুবিধা ও উপকরণের সমতা রক্ষা প্রভৃতি এই নীতির অন্তর্গত।
যে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জনগণ তাই “গণমুখী”। সমগ্র দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাই গণমুখী। মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য উচ্চ ব্যয়সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপন্থী। নগর ও পল্লী অঞ্চলের শিক্ষার প্রতি সমান মনোযোগ প্রদান, উচ্চতর শিক্ষার প্রতি যেরকম জোর প্রদান নিম্নতর শিক্ষার প্রতিও সেরকম জোর প্রদান এই নীতির অন্তর্ভুক্ত।
যে শিক্ষা সকল প্রকার ভাবধারাকে গ্রহণ করতে পারে শব্দগতভাবে তাই “সর্বজনীন” শিক্ষা। বিশেষ ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা বা বিশেষ বাদ (Ism) ভিত্তিক শিক্ষা সর্বজনীন নয়। সকল মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে যে শিক্ষা তাই সর্বজনীন শিক্ষা।
সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ (খ)-তে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্র সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।”
এই দফার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, জীবনের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ও সমস্যার যথার্থ পূরণ ও সমাধানের প্রতি শিক্ষা পদ্ধতি নিবেদিত হওয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে পরিবর্তনশীল সমাজের দাবী ও আশা-আকাঙ্ক্ষা সমুহের যথাযথ বিন্যাস হওয়া বাঞ্ছনীয়।
অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্প, প্রকৌশল, কারিগরি, চিকিৎসা, বাণিজ্য প্রভৃতি শিক্ষার উপর যথেষ্ট জোর প্রদান করতে হবে। শুধু জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। নাগরিকগণ যাতে উপলব্ধি শক্তি, অনুসন্ধিৎসা, বিশ্লেষণ ও সৃজন ক্ষমতা অর্জন করতে পারে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১৭ অনুচ্ছেদের ৩য় দফা (গ)-তে বলা হয়েছে “রাষ্ট্র আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।”
উল্লেখ্য উপরোক্ত অনুচ্ছেদ সরকারের জন্য দিক নির্দেশনামূলক। সরকারকে বাধ্য করবার জন্য এই প্রসঙ্গে আদালতে মামলা রুজু করা যাবে না। এরও কারণ রয়েছে। সরকার এই আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করবেন। দেশকে, জাতিকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। শিক্ষাই যে একটি জাতির সব সে কথা ব্যাখ্যা করা বর্তমানে নিষ্প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় যে আকাঙ্ক্ষা থেকে সংবিধানে দিক নির্দেশনা এসেছিল দেশ স্বাধীনতা লাভ করার ৩৭ বছর পর তার ফলপ্রসূতার দিকে যদি ফিরে তাকাই তাহলে দেখা যায় এন, জি, ও, কর্তৃক প্রবর্তিত ১৭ থেকে ১৮ রকম শিক্ষা রয়েছে প্রাইমারী লেভেলে। রয়েছে ধনীদের সন্তানদের জন্য ইংলিশ মিডিয়াম, হত দরিদ্রদের সন্তানদের জন্য মাদ্রাসা মিডিয়াম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীদের জন্য বাংলা মিডিয়াম, যা সম্পূর্ণরূপে আমাদের সংবিধানে ঘোষিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিপরীত।
ইদানীং কালে ঢাকা শহরে ব্যাঙের ছাতার মত সেমি ইংলিশ মিডিয়াম কিন্ডার গার্টেন স্কুলের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। ক্লাস ওয়ান, টু, থ্রি-এর বাচ্চাদের ১০টা ১২টা পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়। এই ধরনের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করেন প্রায় ক্ষেত্রেই কিছু সংখ্যক অর্ধ শিক্ষিত, পরাজিত মানুষ, যারা নিজেদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেন কোমলমতি শিশুদের উপর। যারা এতগুলো বই পড়তে পারে না তাদের জন্য রয়েছে কোচিং সেন্টার (পয়সা উপার্জনের সহজ কৌশল)। উদ্দেশ্য, পরীক্ষায় ভাল নাম্বার পাওয়া। আমার পরিচিত অনেক অভিভাবক রয়েছেন যারা সন্তানকে স্কুলে না পাঠিয়ে কোচিং সেন্টারে পাঠান। উদ্দেশ্য, ভাল স্কুলে ভর্তি করান। ভাল স্কুল বলতে বুঝায় সেই স্কুল, যে স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। শিক্ষা এখন সম্পূর্ণরূপে সার্টিফিকেট মুখী। আচ্ছা, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এরা বাল্যকালে কতগুলো বই পড়েছিলেন? সেগুলির মধ্যে কতগুলো ইংরেজী বই ছিল? তারা কোথায় কোচিং করেছিলেন?
সমস্যা আরও ভয়াবহ। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের অধিক পুস্তক দিয়ে মস্তিষ্কের উপর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত চাপ দেবার ফলে বন্ধ্যাত্বের সূচনা হয়। ক্ষুধামান্দ্য, নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। খেলাধুলা সহ দৌড়া-দৌড়ির সুযোগ না পাবার কারণে দেহের বৃদ্ধি ঘটে না, ক্ষুধা লাগে না।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বাচ্চাদের সমস্যা অবশ্য আরও একধাপ বেশী। ভিন্ন সাংস্কৃতিক শিক্ষা আবহাওয়ায় থাকার কারণে এদের ভবিষ্যৎ হয় বিদেশমুখী কিংবা গিয়ে ঠেকে মাদকাসক্তিতে। কারণ এরা সমাজ থেকে বিচ্যুতি লাভ করে। রবীন্দ্রনাথের মেজদাদার কথা মনে পড়ছে, “আগে চাই বাংলা ভাষার শক্ত গাঁথুনি, তারপর ইংরেজী শিক্ষার পত্তন।” ইংলিশ মিডিয়ামে লেখা পড়া ক’রে কয়জন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, পাইলট, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ হতে পেরেছে তা পাঠকেরাই বিবেচনা করবেন?
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও সমস্যা একই। আরবী ভাষা, আরবের সংস্কৃতি তাদের উদ্বুদ্ধ করে বাঙ্গালী সাংস্কৃতির বদলে আরবী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা তথা জঙ্গীবাদের দিকে।
ফিরে আসি সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে। আগের দিনে শিক্ষা ছিল গুরুমুখী। শিক্ষার্থী গুরুর বাসস্থান বা তার আশেপাশে স্থায়ীভাবে থাকত। সার্বক্ষণিক গুরুর সন্নিধ্যে থাকত একজন শিক্ষার্থী। উদ্দেশ্যে গুরুর সংস্পর্শে শিক্ষার্থীর মনোজাগতিক পরিবর্তন বা শিক্ষার্থীর মানবিক চেতনা ও গুণাবলীর বিকাশ। পরবর্তীতে শিক্ষা দর্শনে পরিবর্তন আসে। নিজ বাড়ীতে থেকেই শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যেয়ে শিক্ষা লাভ করার চিন্তা ,শিক্ষা দর্শনে যুক্ত হয়। এর সুফল একাধিক। প্রথমত, পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন। দ্বিতীয়ত, ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বিষয় হতে জ্ঞান লাভের সুযোগ। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও পরিবার, সমাজ, সংগঠন প্রভৃতি থেকে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়।
শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটানো, মানুষরূপী প্রাণীকে শিক্ষার মধ্য দিয়ে মানুষে পরিণত করা, জানোয়ারে নয়। মানবিক গুণাবলী ও মূল্যবোধ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বাঞ্ছিত নাগরিক রূপে গড়ে তোলাই যে কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য।
কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর মানবিক গুণাবলীর বিকাশ এবং উপলব্ধি শক্তি, অনুসন্ধিৎসা ও সৃজনশীলতার বিকাশ যতটা না ঘটায়, তার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে টেকনিকবাজি, স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতার বিকাশ ঘটায়। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সে হয়ে ওঠে কৌশলী. সুযোগসন্ধানী। শুধু প্রশ্ন সিলেকশন, সিলেবাস খোঁজা; উত্তর লিখতে গিয়ে চাতুর্যের আশ্রয় নেওয়া প্রভৃতি শিক্ষার্থীকে কৌশলী, সুযোগসন্ধানী করে তোলে। অনেকে বলতে পারেন প্রথমেই যদি একজন শিক্ষার্থী কৌশলী হয়ে উঠতে পারে ক্ষতি কী? কৌশলও তো জীবনের অপরিহার্য অংশ। হ্যাঁ, তা ঠিক। কিন্তু এর জন্য জলাঞ্জলি যা দিতে হয় তা হচ্ছে মানবীয় মূল্যবোধ। শুধুমাত্র গাইড, হ্যান্ডনোট মুখস্থ করে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী তার সৃজনশীলতা, উপলব্ধি শক্তি ও অনুসন্ধিৎসার বিকাশ ঘটাতে পারে? রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা প্রসঙ্গে একটি প্রবন্ধে আক্ষেপ করে লিখেছেন, “ইদানীং কালে এক নতুন ধরনের বাজিকরদের উদ্ভব হয়েছে যারা পড়া মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় গিয়ে উদগার করিয়া ফেলে।”
বর্তমান কালের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে গভীরভাবে তাকালে দেখা যায়, এই শিক্ষার লক্ষ্য চাকুরিমুখী। অর্থাৎ চাকুরির জন্য শিক্ষালাভ তথা ডিগ্রী লাভ বা সার্টিফিকেট লাভ। চাকুরিমুখী শিক্ষা কোন শিক্ষার্থীকে অদম্য ইচ্ছা, তীব্র শক্তি ও সামর্থ্যরে অধিকারী এবং বিবেকবান রূপে গড়ে তুলতে পারে এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। তাহলে গোলাম বানিয়ে সমাজের কী লাভ?
দ্রুত চাকুরি লাভের অন্য ডিগ্রী প্রয়োজন। আর দ্রুত গতিতে এই ডিগ্রী প্রদানের জন্য দেশে এখন পাওয়া যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষার ফেরিওয়ালা তথা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এক হাতে টাকা, অন্য হাতে সার্টিফিকেট। অযথা রেজাল্ট নিয়ে চিìাæর কিছু নাই, ঠিকমত টাকা পরিশোধ করলে সময়মত সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুত চাকুরির নেশায় এদের খপ্পরে পড়ে অসচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। অত্যধিক খরচ মিটানোর জন্য গ্রামের ছেলেরা হালের গরু, জায়গা-জমি বিক্রি করে। অত:পর সার্টিফিকেট লাভ করার পর তারা হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে থাকে চাকুরির বাজারে পা দেবার সঙ্গে সঙ্গে। একেতো প্রতিযোগী অনেক বেশি তারপর আবার তাদের সার্টিফিকেটের মূল্য নেই। অবশেষে স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়।
এবার আবার ফিরে আসি আমাদের সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে। প্রশ্ন হচ্ছে জাতির শিক্ষা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা আইনের বইয়ে এক রকম আর বাস্তব অন্য রকম কেন? উত্তর হচ্ছে বাঙ্গালী হাজার বছর ধরে বিজাতি, বিভাষী দ্বারা শাসিত হয়েছে। স্বাধীনতার সংগ্রাম তথা বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন এই রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে, এই জাতি কীভাবে বীর দর্পে পৃথিবীর মানচিত্রে নিজেদের জায়গা করে নেবে এরই আকাঙ্ক্ষা থেকে সংবিধানে ঐরূপ শিক্ষা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা এসেছে।
তবে তা বাস্তবায়ন হল না কেন? হল না তার কারণ এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য যে রকম অঙ্গীকারাবদ্ধ সরকার দরকার সে রকম সরকার এই নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে আসে নি। সরকার যারা চালায় তাদের সন্তানেরা তো বিদেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
একটি দেশপ্রেমী সরকার যে একটি জাতিকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ গণ-প্রজাতন্ত্রী চীন। ঘুম থেকে জেগে উঠা এই দানবের ভয়ে পুরাতন ও জরাগ্রস্ত পৃথিবী আজ কম্পমান।
এই বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় আমাদের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কী করার আছে? জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা কবে রাজনীতিতে আসবে, সরকার গঠন করবে, দেশ পরিচালনা করবে? এই জাতির হাজার হাজার বছর ধরে পুঞ্জিভূত স্বপ্নের, পুঞ্জিভূত জয়ের আকাঙ্ক্ষার সার্থক বাস্তবায়ন হবে কবে? আর কত দিন!
৭ মার্চ, ২০০৯
অনলাইন : ৮ মার্চ, ২০০৯