লিখেছেনঃ আর্স্লান শওকত, আপডেটঃ July 24, 2010, 6:00 PM, Hits: 27224
ইসলাম পন্থীরা বিভিন্ন মোড়কে নিরীহ পশ্চিমা অমুসলমানদের কাছে ইসলামকে এক মধ্যপন্থী, শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় মতবাদ হিসাবে বিকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ইসলাম মাত্র একটি। এতে রয়েছে মুহাম্মদের জীবন এবং কুরআনের অনুশাসনের প্রতিফলন। এর মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও মধ্যপন্থী বলে কিছু নাই। যদি ইসলামের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যকর লড়াই চালাতে হয় তবে এই চতুর ইসলামপন্থীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে...................
বর্তমানে বিশ্ব সার্বিকভাবে ইসলাম ও ইসলামী মতবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের উত্থান প্রত্যক্ষ করছে। রণক্ষেত্র হচেছ প্রধানত বিশ্বব্যাপী ওয়েব সাইট (w.w.w.)। Faithfreedom.org, Islam watch এবং Jihad watch-এর মত ওয়েব সাইটগুলো উদারপন্থী, ইসলামবিরোধী এবং সাবেক মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কে নিজ নিজ দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করার চমৎকার প্ল্যাটফরম হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়াও ইবনে ওয়ারাক, ওয়াফা সুলতান, গির্ট ওয়াইল্ডার্স, আইয়ান হিস্রি আলী এবং রবার্ট স্পেনসারের মত কিছু লোক ইসলাম সম্পর্কে তাদের অত্যন্ত সমালোচনামূলক দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করতে আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছেন। তবে নিঃসন্দেহে www সর্বোত্তম প্ল্যাটফর্ম্ হিসাবে সেবা প্রদান করে চলেছে।
একই সঙ্গে ইসলামী উম্মাহ্ এই চ্যালেঞ্জ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং ইসলামী ধর্মতত্ত্ব ও এর স্থিতাবস্থার প্রতি হুমকি স্বরূপ উপাদানগুলোকে হেয় প্রতিপন্ন, প্রত্যাখ্যান, চ্যালেঞ্জ করতে ও ধামাচাপা দিতে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা অবশ্যই এক আদর্শগত যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছি। এর একদিকে রয়েছে নাস্তিক, সাবেক মুসলমান ও ইসলামবিরোধীরা এবং অন্য পক্ষে আছে মুসলমান কৈফিয়ৎদাতা, পণ্ডিত এবং মুসলিম উম্মাহ। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই যে, এ লড়াই প্রায়ই হিংসাত্মক ও রক্তাক্ত হয়ে উঠে (আর্থাৎ থিওভ্যানগহ্ হত্যাকাণ্ড, টেডি বিয়ার বিষয়ক ঝামেলা, ডেনিশ কাটুêনসমূহ এবং কুর্ট ওয়েস্টারগার্ডের উপর হামলা, ফ্যানিশ মসিহ্ হত্যাকাণ্ড এবং ইমরান মসিহ্র কারাদণ্ড, ইত্যাদি)।
এখন ইসলামবিরোধী এবং ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিতর্কের এক বড় অংশ আবর্তিত হচ্ছে একটি মাত্র ইসুøকে কেন্দ্র করেঃ প্রকৃত বা সত্যিকার ইসলাম কী ? বিতর্কটি সব সময় ‘প্রকৃত’ ইসলাম প্রসঙ্গে রূপ নেয়। যখন সবকিছু বলা এবং করা হয়ে যায় তখন মাত্র একটি প্রশ্ন অবশিষ্ট থাকেঃ প্রকৃত ইসলাম কী ?
আমার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, ‘প্রকৃত ইসলাম’ শব্দটি ব্যবহার করাই হচ্ছে সমস্যা সৃষ্টি করা। তবে তর্কের খাতিরে আমি ইসলামের দু’টি দৃষ্টিকোণ দেখানোর জন্য দু’টি সংজ্ঞা ব্যবহার করবঃ ‘প্রকৃত’ ও ‘মধ্যপন্থী’।
একগুচ্ছ বিশ্বাস অথবা একটি আদর্শকে ‘প্রকৃত’ বলা যায়, যদি এতে এর প্রতিষ্ঠাতার মূল এবং অবিকৃত প্রত্যাশাসমূহ, দৃঢ় অভিমত এবং শিক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এতদূর পর্যন্ত আমরা সবাই বুঝতে পারি। কেবল তখনই ইসলামকে ‘সত্যিকার’ বা ‘প্রকৃত’ বলা যাবে যখন এতে মুহাম্মদের, কুরআনের এবং হাদীসের শিক্ষার প্রকাশ ঘটবে।
তাই, কুরআনে যা বলা হয়েছে সেটাই ‘প্রকৃত’ ইসলাম। মুহাম্মদ যা করেছেন এবং বলেছেন তা-ই প্রকৃত ইসলাম। সহি হাদীসসমূহে যা আছে তা-ই সত্যিকারের, অর্থাৎ প্রকৃত ইসলাম।
উপরে বিধৃত ‘প্রকৃত ইসলামের’ পেক্ষাপটের কতিপয় লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য কী? একটি মাত্র নিবন্ধে সামগ্রিক ইসলামী মতাদর্শ তুলে ধরা অসম্ভব। সুতরাং আমি শুধু ‘প্রকৃত ইসলামের’ একটি দিকের উপর মনোনিবেশ করব এবং একটি মুখ্য ইসুø তুলে ধরবঃ ইসলাম কি শান্তির ধর্ম, নাকি যুদ্ধের ধর্ম?
এমনকি কুরআনের ভাসা ভাসা অধ্যয়নেও এটা অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ইসলাম যুদ্ধ ও রক্তপাতকে উৎসাহিত করে।
এটা বিশ্বাসীদেরকে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়।
কুরআন ৯:১১১: ‘অন্যরূপে, আল্লাহ বিশ্বাসীদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পত্তি কিনে নিয়েছেন; এর মূল্য বাবদ তারা বেহেস্তে যাবে। তারা আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করে, সুতরাং তারা হত্যা (অপরকে) করে এবং নিহত হয়। এটা একটা সত্যভিত্তিক ওয়াদা।’
কুরআনঃ ৪৯:১৫: ‘শুধু তারাই বিশ্বাসী যারা বিশ্বাস করেছে আল্লাহর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি, এবং তখন থেকে কখনও সন্দেহ করে নাই, বরং আল্লাহর জন্য ছুটে এসেছে তাদের সহায়-সম্বল ও লোকজন নিয়েঃ এতই তারা আন্তরিক।’
কুরআন এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, অবিশ্বাসীরা হচ্ছে নিকৃষ্টতম জীব।
কুরআনঃ ৯৮:৬: ‘নিশ্চয়ই, যারা অবিশ্বাস করে (ইসলাম ধর্ম, কুরআন ও নবী মুহাম্মদের [সাঃ] প্রতি) কিতাব প্রাপ্ত লোকদের মধ্যে (ইহুদী এবং খ্রীষ্টান) এবং আল মুশরিকুন (অংশীবাদীরা) দোযখের আগুনে দগ্ধ হবে। তারা নিকৃষ্টতম জীব।’
কুরআন এটা একেবারেই পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, ইসলাম অবশ্যই অন্য সকল ধর্মীয় পদ্ধতির ঊর্ধ্বে বিরাজ করবে, যেগুলো মিথ্যা এবং আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
কুরআনঃ ৬১:৯: ‘ইনিই তিনি (আল্লাহ) যিনি তার বার্তাবাহককে (মুহাম্মদ) দিকনির্দেশনা এবং সত্য ধর্ম দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে এটা পৌত্তলিকদের ব্যাপক অসন্তষ্টির কারণ হয়ে টিকে থাকে এবং অন্য সব ধর্মের উপর বিজয় লাভ করে, ।’
আমি এই উক্তিগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উদ্ধৃত করেছি এটা পরিষ্কার করার জন্য যে, শান্তিপূর্ণ, মধ্যপন্থী অথবা বশ্য ধর্ম হওয়ার কোন ইচ্ছা ‘প্রকৃত’ ইসলামের নাই।
এখন মুহাম্মদের কয়েকটি কর্মকাণ্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক। ইসলামের উদ্ভাবক মুহাম্মদ আত্মরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। তিনি অনেক যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, যেমন বদর, খন্দক, ওহুদ ইত্যাদি। তিনি মদীনার বেশ কয়েকটি ইহুদী উপজাতিকে নিশ্চিহ্ন করেন, যেমন নাদির, কানুকাহ্, এবং অবশ্যই বনু কুরাইযাহ্র গণহত্যা ছিল মুহাম্মদের ইচ্ছার প্রত্যক্ষ পরিণতি। (লাইফ অফ মহমেট, উইলিয়াম মুইর)। মানবাধিকার, দয়া অথবা ন্যায্যতার তোয়াক্কা না করে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন, লুণ্ঠন করেছেন এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো বিয়ে করেছেন এবং এমনকি এসব অভিযানে আটক আটক হওয়া রমণীদের ধর্ষণ করেছেন। মুহাম্মদ যুদ্ধে যত বেশী সম্ভব ধৃত নারীদের ভোগ করার জন্য মুসলমান পুরুষদের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, অথবা কিনে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। এমনকি তারা (বন্দী নারীরা) যদি বিবাহিতও হত তাতেও তার কোন আপত্তি ছিল না। (কুরআনঃ ৪:৩; ৪:২৪)।
মুহাম্মদের জীবনে এবং তিনি যা করেছেন অথবা বলেছেন তাতে শান্তিপূর্ণ অথবা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য কিছু ছিল না বললেই চলে। যদিও মুহাম্মদীয় এবং মুহাম্মদ পরবর্তী ইসলামের ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ও সহিংস রক্তপাত, যুদ্ধ ও গণহত্যায় পরিপূণ তথাপি বর্তমান নিবন্ধের জন্য কুরআন থেকে উপরোক্ত গুটিকয়েক উদ্ধৃতি এবং মুহাম্মদের জীবনের সামান্য কিছু উল্লেখ যথেষ্ট হবে। এসব ঘটনা এবং ঐতিহাসিক তথ্য সহি বুখারীসহ সহি হাদীসগুলোতে বর্ণিত আছে।
এর উপসংহার টানা অতি সহজ যে, ‘প্রকৃত’ ইসলাম হচ্ছে রক্ত, যুদ্ধ, লালসা আর ঘৃণায় পরিপূর্ণ এক নিকৃষ্ট আদর্শ। এটা এমন এক সর্বগ্রাসী অন্ধ গোঁড়ামী যা এর অনুসারীদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে বেহেস্তের প্রাচুর্যের মধ্যে অনন্ত সুখের সন্ধান মিলবে বলে মোহাচ্ছন্ন করে রাখে। ইসলাম হচ্ছে যুদ্ধ। এবং মুহাম্মদ ছিলেন যোদ্ধা (অত্যন্ত সফল যোদ্ধা)।
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, রাজনীতিবিদ, পণ্ডিত ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং সংবাদ মাধ্যম ও পত্র-পত্রিকা আগাগোড়া ঐতিহাসিক ও তথ্যভিত্তিক ইসলামকে উপেক্ষা করেছে। তার পরিবর্তে আমরা নিম্নোক্ত বিবৃতির বোমা বর্ষণ লাভ করছিঃ
১। ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম।’
২। ‘কতিপয় মন্দ লোক তাদের নিজস্ব স্বার্থে ইসলামকে ছিনতাই করেছে।’
৩। ‘ইসলাম সকল মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সহাবস্থান এবং পারস্পরিক সমঝোতাকে উৎসাহিত করে,’ ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এছাড়া মুসলমান এবং ইসলামী কৈফিয়ৎদাতারা ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং মুহাম্মদ সর্বোত্তম ‘আদর্শ মানব’ একথা জানানোর জন্য আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অবশ্যই তাদের দাবী আবর্জনা ছাড়া কিছুই নয়।
ইসলামপন্থীরা যেনতেনভাবে এই ধারণা সামনে আনতে চাইছে যে, ইসলাম হচ্ছে মধ্যপন্থী, আলোকিত, শান্তিপূর্ণ এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পন্ন। তারা এটাকে ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ বলে। এখন, স্পষ্টভাবে, এবং আগে যেসব বিষয় দেখানো হয়েছে তাতে বোঝা যায় ইসলাম সম্পর্কে এ সকল ধারণা একেবারে ভ্রান্ত।
কিন্তু ইসলামী কৈফিয়ৎদাতারা কীভাবে এমন ঢালাওভাবে এবং অব্যাহতভাবে ইসলাম সম্পর্কে এমন মিথ্যাচার করতে পারে? কীভাবে এটা সম্ভব যে, তারা ইসলামকে তার প্রকৃত চেহারার একেবারে বিপরীত ভঙ্গিতে উপস্থাপন করছে?
এ সবের কারণ একাধিকঃ
১। মুসলমান কৈফিয়ৎদাতারা মিথ্যা বলে। তারা তাকিয়াহ্ করে।
২। তারা কোন না কোন ভাবে ইসলামের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে মোহযুক্ত।
৩। ইসলামপন্থীরা ভালভাবে সচেতন যে, একটা মিথ্যাকে বারবার বললে সেটা সত্যে পরিণত হতে পারে। তারা এটাও ভাল করে জানে যে, তাদের ধর্মকে তুলে ধরার জন্য শান্তিপূর্ণ ও মধ্যপন্থী ইসলামের কথা বলা সহ প্রয়োজনে যে কোন উপায় অবলম্বন করা জায়েজ।
৪। পশ্চিমে আগত মুসলমান কৈফিয়ৎদাতারা পাশ্চাত্যের অনেক উদার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সামাজিকসাংস্কৃতিক আচার গ্রহণ করেছে। এবং তারা এক আলাদা পশ্চিমা প্রেক্ষাপট থেকে ইসলামকে উপলব্ধি করে। অন্য কথায়, তারা নিজেরাই পাশ্চাত্যের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ দ্বারা পাল্টে গেছে। এই পরিবর্তন আবার মিশে গেছে ইসলাম সম্পর্কে তাদের ধারণার সঙ্গে। এই কারণে তাদের ভুল ধারণা ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’-এর জন্ম।
যদিও ‘প্রকৃত ইসলাম’ কথাটা ব্যবহার করা পুরোপুরি ভুল নয়, কারণ এর দ্বারা ইসলামী ধর্মতত্ত্বের (অর্থাৎ কুরআন এবং মুহাম্মদের জীবন) উৎসে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবু ইসলামকে ইসলাম বলা অধিকতর ভাল। এর বেশীও নয়, কমও নয়। এবং ইসলাম দ্বারা এটা বুঝতে হবে যে, ইসলাম হচ্ছে কুরআন এবং মুহাম্মদের জীবনের প্রতিচ্ছবি।
অন্যদিকে, ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ বলে কিছু নেই। যা আছে তা শুধুই ইসলাম। আগেই দেখানো হয়েছে যে, ইসলাম জন্মসূত্রেই মধ্যপন্থী নয়। ইসলাম এমন এক গোঁড়া মতবাদ যা যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও দখলদারীর মাধ্যমে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এটাই আইনে পরিণত হয় এবং সমাজের সকল দিককে গ্রাস করে ফেলে। পাকিস্তান, ইরান ইত্যাদির মত ইসলামী সমাজগুলো কোনভাবেই মধ্যপন্থী নয়। প্রাত্যহিক হত্যা, ফাঁসিতে লটকানো এবং ধর্ম-নিন্দাকারীদের পুড়িয়ে মারা (পাকিস্তান), এগুলো হচ্ছে ইসলামী সমাজ কীভাবে চলে তার ক্ষুদ্র উদাহরণ।
‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ হচ্ছে জনগণকে বোকা বানানোর জন্য ইসলামপন্থীদের এক বিকৃত ধারণা।
ইসলামে কোন মধ্যপন্থা নেই। ইসলামে শুধু ইসলাম আছে।
শান্তিপূর্ণ ও মধ্যপন্থী ইসলামের কৃত্রিম বাগাড়ম্বরপূর্ণ প্রচার দ্বারা জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টায় ইসলামপন্থীরা ব্যস্ত আছে। তাদের প্রচেষ্টা ফাঁস করে দেওয়া এবং থামানো উচিত। ইসলামকে অবশ্যই এমন কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না যাতে এটা শুধু একটা ধর্ম হিসাবে স্বীকৃত হয়। আমরা নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীরা অবশ্যই মধ্যপন্থী ইসলামের এই ধারণাকে পরাজিত করব। শুধু ইতিহাস ও কুরআনের তথ্যগুলো তুলে ধরেই মধ্যপন্থী ইসলাম নিয়ে গালগল্প সহজেই ফাঁস করে দেওয়া যায়, বন্ধও করা যায়।
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, সাবেক মুসলমান, ইসলামবিরোধী এবং নাস্তিকদেরকে ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ বিষয়ক ধারণাকে একযোগে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে।
(নিবন্ধটি Arslan Shaukat-এর The Real Islam-এর বাংলা অনুবাদ। ইংরাজী নিবন্ধটি ইসলাম ওয়াচে [ http://www.islam-watch.org] ২৮ মার্চ ২০১০-এ প্রকাশিত হয়। -- বঙ্গরাষ্ট্র)