Banner
ইসলামের পতন অনিবার্য, পশ্চিমেরও -- মুমিন সালিহ

লিখেছেনঃ মুমিন সালিহ, আপডেটঃ January 22, 2015, 12:00 AM, Hits: 1981

 
চৌদ্দশ’ বছর আগে এর আবির্ভাবে পর বর্তমানেই ইসলাম তার সবচেয়ে গতিময় অন্যতম সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ গতিময় সময়ের শুরু হয়েছিলো ৯/১১-এর সহিংস সংগ্রামের বহু আগে থেকেই; এ সংগ্রাম মুখ্যত পশ্চিমের বিরুদ্ধে হলেও তা এর বিপরীতে গিয়ে নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে উদ্যোগী যে কোনো জাতি বা গোষ্ঠীরই বিপক্ষে ছিলো। অধিকাংশ মুসলিমই এ পুনর্জাগরণের কালটিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নেয় এবং এটিকে ইসলাম এবং অনৈসলামিকতা বা কুফর-এর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সংগ্রাম বলে মনে করে; আর মুহাম্মদ তো বলেছেনই যে, কুফর-এর বিরুদ্ধে তাদেরকে জিততেই হবে। যদিও পশ্চিম এখন এ সংঘর্ষের লক্ষ্যবস্তু, তবে সারা পৃথিবীর জন্য তা কম গুরুত্বের বিষয় নয়।
 

এক রকম চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়েই ইসলাম গত চৌদ্দটি শতাব্দী ধরে টিকে আছে এবং বিস্তারও লাভ করছে। এর শুরুর দিকে কয়েকটি বছর, যখন মুহাম্মদের নবীত্বের দাবী মক্কার আরব এবং ইয়াসরিব-এর [মদীনা] ইহুদীদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো, কেবল তখনই ইসলামকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সেই তেরো বছরের সময়কালে মুহাম্মদ তাঁর দাবীকে প্রমাণ করবার মতো কোনো যুক্তিগত বিতর্কই জেতেন নি। এর ফলেই তিনি প্রকৃত অনুসারী ভিড়াতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। হাতেগোণা যে ক'জন তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিলো, তারা মূলত তাঁর বন্ধুপ্রতীম ও দানগ্রাহী ছিলো। যেই মুহাম্মদ ইয়াসরিব-এ (যার নাম তিনি পাল্টে মদীনা করেছিলেন) তাঁর ঘাঁটি গাঁড়তে সমর্থ হলেন, তাঁর আগমনের কয়েক বছর আগে থেকে বেড়ে ওঠা যুক্তিগত বিতর্কগুলোর আর কোনো মানেই থাকলো না এবং কার্যত তা মিইয়ে গেলো। সেই থেকে, ইসলামকে কেবল কিছু সামরিক চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করতে হয়েছে; এর প্রতিপক্ষরা মূলত ইসলামের আদর্শের আসল রূপ উন্মোচন করার চেয়ে সামরিক বিজয়ের ব্যাপারেই বেশী আগ্রহী ছিলো।

মুসলিম মানসের প্রকৃতি থেকেই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের কাছ থেকে আসা কোনো সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনাই মুসলিমরা বিবেচনা করতে বিন্দুমাত্র উৎসাহী ছিলো না; সে সমালোচনা যতোই খাঁটি বা বৈধ হোক না কেন। যদি মুসলিমরা তেমন কোনো শ্রমসাধ্য এবং শুদ্ধ কোনো কাজের [লেখার] কথা উল্লেখও করতো, তাকে ইসলামের শত্রুদের কাজ বলে নাকচ করে দিতো। অন্যদিকে, মুসলিমদের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে আসা সমালোচনামূলক বিশ্লেষণকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখা হতো, যদিও এসব মুসলিম সমালোচককে অবিশ্বাসী বলেই তকমা সাঁটা হবে।
 

ইসলাম এর অনুগত বা অনুসারীরা একটি মোটা দাগের অন্ধবিশ্বাসায়ন এবং কুশলী ও ব্যাপক মগজধোলাই প্রক্রিয়া নিয়োজনের মাধ্যমে নিজ আদর্শকে সুরক্ষিত করেছে।  প্রক্রিয়াটি এতোটাই অক্ষমায়নের যে, মুসলিমদের কাছে ধর্মের বাইরে তাদের অস্তিত্ব চিন্তা করাটাও ধারণাতীত ব্যাপার।
 

ফেলে আসা চৌদ্দটি শতক ধরে একবারের জন্যেও ইসলামকে নাঙ্গা চ্যালেঞ্জ বা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় নি; কেননা, যারা এর অতিকথাগুলো সম্পর্কে জানতো, তারা এও জানতো যে, এসব অতিকথার সত্যপ্রকাশের ফল কী হতে পারে। যেসব মুসলিম তাদের ধর্ম সম্পর্কে নিজস্ব সমালোচনিক মূল্যায়ন দাঁড় করাতে পেরেছিলো, এর ফলাফল তারা নিজেদের কাছেই রেখে দিতো; কেননা, তারা জানতো যে, নইলে কর্তৃপক্ষের হাতে কিংবা নিজেরই পরিবারের সদস্য বা বন্ধুজনের হাতে তাদের মাথা খোয়াতে হবে; আর, এরা আল্লাহ্'র রাহে তা করতে পারলে খুশীই হবে।
 

এমনকি, গত কয়েক শতক ধরে যখন সারা পৃথিবী আলোকায়নের এক নতুন যুগের দ্বারোন্মোচনে প্রবৃত্ত হলো, ইসলামী কর্তৃপক্ষ ইসলাম সম্পর্কে এর বাইরে থেকে আসা যে কোনো দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই মুসলিম মানসকে সিল-গালা করে দিলো। মুসলিম মানসে অঙ্কিত সেই কট্টর সিল-গালা আমাদের এ সমকালেও বর্তমান। অপ্রত্যাশিত বিষয়াদি, সে মুদ্রিত হোক আর দূরদর্শনে সম্প্রচারিতই হোক, সবই ছেঁকে নেওয়া হয়েছে। টানা চৌদ্দশ’ বছর ধরে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীর বাইরে অন্য কোনো দৃষ্টিভঙ্গী থেকে তাদের ধর্মকে দেখবার সুযোগই মুসলিমদের ঘটে নি। ইসলাম টিকে গেছে এজন্য যে, সবসময়ই এ পেয়েছে উপযুক্ত অন্ধকার পরিবেশ এবং একমুখী শিক্ষণ যাতে অন্য কোনো দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতি সহিষ্ণুতার কোনো বালাই-ই নেই।
 

আন্তর্জাল বা ইন্টার্নেটের সূচনায় সবকিছুই বদলে গেছে। আন্তর্জালের শক্তিকে ধন্যবাদ, প্রায় সবার কাছেই পৃথিবী এখন উন্মুক্ত; এবং, মুসলিমদেরও সুযোগ ঘটছে ইসলাম সম্পর্কে বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গীর সংস্পর্শে আসার, যা অতীতে অসম্ভবই ছিলো। আন্তর্জালই ইসলামের বিপক্ষে প্রথম প্রকৃত চ্যালেঞ্জ, কেননা এটি ইসলামের সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই ছিন্ন করে ফেলেছে। আন্তর্জাল ইসলামের আনুগত্য এবং সর্বান্ত:করণে আত্মসমর্পণের দাবীকে নাকচ করে দিয়েছে। ইসলাম সম্পর্কিত সবকিছুই এখন অনুপুঙ্খ সমালোচনার বিষয়, এখন লোকেরা যৌক্তিক প্রশ্ন তুলতে এবং তার বিপরীতে যৌক্তিক উত্তরেরও প্রত্যাশা করতে পারছে। প্রতিদিন আন্তর্জাল এর অতিকথার সত্যোন্মোচনে এর ধর্মান্ধকারের ওপর বেশী বেশী করে আলো ফেলছে। এতে করে নড়ে যাচ্ছে ইসলামের আদর্শিক ভিত্তি। মুসলিমরা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসায় অপেক্ষাকৃত শ্লথ, তাদের পরিকল্পনাপ্রসূত-মনন বিবেচনা করলে তা বিধেয়ও বটে। তারা ব্যাটারি-চালিত মুরগিছানার মতো আচরণ করে; অন্ধকারে তারা এতোটাই আচ্ছন্ন যে, আলো দেখলেও তারা বেরিয়ে আসতে ভয় পায়। আমরা আন্তর্জাল যুগের সূচনাপর্বে আছি মাত্র। প্রক্রিয়াটি ধীরগতি মনে হতে পারে। কিন্তু, বল এরই মধ্যে গড়াতে শুরু করেছে এবং আরো অনেক মুসলিম সত্যের আলোয় জেগে উঠবে, আর আলোর পৃথিবীতে বেরিয়ে এসে ইসলামের অতিকথার সত্যোন্মোচনে আমাদের এই এক্স-মুসলিম বা সাবেক-মুসলিমদের দলে যোগ দেবে।

 

পশ্চিমেরও পতন আসছে
 

আন্তরিকভাবেই আমি চাই যে, সময় আমার এ হতাশাব্যঞ্জক ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করুক; কিন্তু পশ্চিমের পতনের লক্ষণ সুস্পষ্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিজয়ী হিসাবে উথিত পশ্চিমা জাতিগুলোর জন্য তাদের সেই উদ্দীপনার গতি হারাতে এবং নেতৃত্বদানের আশা খোয়াতে এক প্রজন্মের বেশী সময়ও লাগে নি। এ নিবন্ধের এ অংশটি লেখা মূলত ব্রিটেনের কথা মনে রেখেই, কেননা দৃশ্যত এ-ই নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলো। তবে অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থাও একই রকম।
 

পশ্চিমের এ অবক্ষয় মূলত স্বয়ংসৃষ্ট সমস্যা যার জন্য ইসলাম বা বাইরের অন্য কোনো প্রভাবককে দোষারোপ করা চলে না। কিন্তু এ এক বহুলচর্বিত সমীক্ষা যে, পশ্চিম ধ্বংস হতে চলেছে, ইসলাম ছাড়া বা ইসলাম-সমেতই; যদিও ইসলামই এর সুবিধাটা গ্রহণ করছে এবং ধ্বংসের এ গতিকে ত্বরান্বিত করতে খাটছেও প্রচুর। ইসলামী শিকারীরা অসহায় শিকারের মতোই পশ্চিমের দিকে চেয়ে আছে এবং হত্যার উপযুক্ত ক্ষণের জন্যে ওঁৎ পেতে আছে। কোনোরকম লড়াই ছাড়াই, তারা পশ্চিমের উত্তরাধিকার লাভের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী; আর এ ব্যাপারে তাদের কোনো রাখ-ঢাকও নেই। ক'বছর আগে কর্নেল গাদ্দাফি তো বললেনই যে, আগে মুসলিমেরা শক্তির সাহায্যে ইউরোপকে করায়ত্ত করতে পারে নি, কিন্তু এখন শক্তিপ্রয়োগ ছাড়াই তা করবে। লিবীয় এ নেতার টিপ্পনী যদি আপনার বিশ্বাস না হয়ে থাকে, কেবল একটিবার ব্রিটেনের যে কোনো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান  নিজের চোখেই দেখতে পাবেন যে, ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ চেহারা কী দাঁড়াতে যাচ্ছে।
 

ব্যক্তির সমষ্টি বলেই জাতিগুলোর আচরণও ব্যক্তিরই মতো। পরীক্ষার  প্রস্তুতির সময় কিংবা প্রতিযোগিতায় নামবার মতো চাপের সময়ই ব্যক্তির কর্মক্ষমতা সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। জাতিও যুদ্ধ কিংবা অন্যান্য জাতীয় সংগ্রামের মতো চাপের সময়ই সবচেয়ে বেশী কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করে। গত যুদ্ধেই পশ্চিমা জাতিগুলোর কর্মক্ষমতা সর্বোচ্চ প্রদর্শিত হয়েছে। লোকেরা সুযোগের সন্ধান করে নি; তারা দু:সময়ের মধ্য  দিয়ে গেছে, দু:সহ ক্লেশ সহ্য করেছে, যুদ্ধে লড়েছে এবং জীবন খুইয়েছে যাতে তাদের সন্তান এবং পৌত্রদের জন্য একটা ভালো ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়। ঐ সন্তান এবং পৌত্রেরাই আজকের পশ্চিমাবাসী প্রজন্ম যারা তাদের ঠাকুরদা'দের কঠোর পরিশ্রমের ফল নিঙড়ে নিচ্ছে। আজকের পশ্চিমাবাসী প্রজন্ম সেই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ভোগ করছে যা তাদের অর্জিত নয় এবং তা রক্ষায় তারা উদ্যমী বলেও মনে হয় না।
 
ইসলামের কারণে পশ্চিমকে কিছু বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, যেমন: ৯/১১-এর আক্রমণ এবং মাদ্রিদ ও লন্ডনে বোমা হামলা। আমরা সবাই-ই বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতাকে ঘৃণা করি, কিন্তু ব্যক্তির মতো জাতিরও টিকে থাকবার জন্যে ঐ বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতারও প্রয়োজনীয়তা আছে বৈকি! যখন ধারালো কোনোকিছুর উপর বসে পড়ে, বেদনার অস্বস্তিকর অনুভূতিই একজন মানুষকে ঐ জায়গা ছাড়তে চালিত করে, নৈলে সে রক্তপাতে মারাও যেতে পারে। আবার বেদনার অস্বস্তিকর অনুভূতিই আক্রান্তজনকে ভোগান্তির-কারণ নির্মূলের জন্যে চিকিৎসার সন্ধানে পাঠায়। বেদনা এক ধরনের সতর্কায়ন ব্যবস্থা যা লোকদেরকে মনযোগ-আবশ্যক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করে। যাইহোক, তবু কিছু লোক থাকেই যারা যথেষ্ট অসাবধান, কিংবা বলা যেতে পারে নির্বোধ; এরা নিজেদের অসুস্থতার কাছে আত্মসমর্পণ অব্দি বেদনানাশক ওষুধ গেলা ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপই নেয় না।
 
গত কয়েকটি দশক ধরে পৃথিবীজুড়ে পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুগুলোতে বোমাহামলাই পশ্চিমকে সমস্যার শিকড় উৎপাটনে উদ্যোগী করতে যথেষ্ট, আর আমরা সবাই-ই জানি সমস্যার এ শিকড়ের নাম ইসলাম। পরিবর্তে, রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ গোষ্ঠীসমূহ প্রদত্ত বিধান মোতাবেক পশ্চিম বেছে নিয়েছে রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ সত্যতাপ্রতিপাদনের ধরনে বেদনানাশক ওষুধ গেলাকে। আমি ভয় পাচ্ছি এ ভেবে যে, এ হয়তো ধ্বংসেরই একটি ফর্মুলা।
 
আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পশ্চিমা সমাজগুলোর ভয়াবহ এক সহজাত সমস্যা রয়ে গেছে যা তাদেরকে তাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং অতীতে তাদের যাবতীয় অর্জনের বিপরীতে চালিত করছে। বাইরে থেকে আসা সবকিছুই খাঁটি ও সত্যনিষ্ঠ এবং নিজেদের সবকিছুই মিথ্যা ও দূষিত জ্ঞান করে তারা সহজেই নিজেদের সাংস্কৃতিক  আত্মসমর্পণ ঘোষণা করছে। সাম্রাজ্যবাদ-উত্তর দোষে তারা এতোই আবিষ্ট যে, নিজেদের দেশের গুণের বিষয়ে তারা অন্ধকারে আছে।

 পশ্চিমের দুর্বলতা ইসলামপন্থীদের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে এবং তাদের ধর্মান্ধতা দূর করবার এবং মুসলিম মানসকে আলোকিত করবার লক্ষ্যে আমাদের ক্যাম্পেইনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ইসলামে পশ্চিমাদের ধর্মান্তর নিজধর্মে মুসলিমদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিকরণে ইসলামপন্থীদের প্রোপাগান্ডা প্রক্রিয়াকে জোরদার করছে। হরহামেশাই দেখা যায় যে, যখন মুসলিমরা ইসলামের অতিকথাগুলোকে প্রমাণ করবার জন্যে উত্তর খুঁজে ফেরে, ইসলামের সাথে থাকবার পক্ষে তারা সবচেয়ে অদ্ভূত এক যুক্তি দাঁড় করায়, বলে যে: “কিন্তু ইসলাম সঠিক না হলে ঐ পশ্চিমারা নিশ্চয় ধর্মান্তরিত হতো না।''

যেসব চরমপন্থী ইসলামী সংগঠন নিজেদের দেশে নিষিদ্ধ তাদের জন্য পশ্চিমই পরিণত হয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে। পশ্চিমা সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে কুখ্যাত কিছু ইসলামী সংগঠনকে টিকে থাকতে, বিকাশ লাভ করতে এবং সারা পৃথিবীর নিরীহ মানুষকে সন্ত্রস্তকরণে সহায়তাও দিয়েছে। এংলিকান চার্চের প্রধান ব্রিটেনে শরীয়া আইন সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা আরেকটি ইঙ্গিত বহন করে যে, ব্রিটেনের সমস্যা একেবারেই স্বেচ্ছারোপিত সমস্যা। তাদের সমস্যার বিপরীতে ব্রিটিশ জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া কম করে বললেও হতাশাব্যঞ্জক। যারা সমস্যাকে অনুধাবন করতে পেরেছে, তারা সবকিছু ছেড়ে-ছুড়ে দেশান্তরে যাচ্ছে; আর বাকিরা অন্ধ সেজে উপেক্ষা করে যাচ্ছে। আমি ভয় পাচ্ছি যে, যখন জাতির অনুভূতিই এতো অসাড়, তখন আসন্ন কোনো বিপদের প্রতিক্রিয়া বা কোনো হুমকির মোকাবিলা আদৌ সম্ভব কিনা!

(নিবন্ধটি মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম তত্ত্ববিদ লেখক Mumin Salih-এর লেখা  Islam will lose, so will the West-এর বাংলায় ভাষান্তর। মূল ইংরাজী নিবন্ধটি ওয়েব সাইট ইসলাম ওয়াচ (www.islam-watch.org)--এ ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ তারিখে প্রকাশিত। লেখক মুমিন সালিহর ই-মেইল ঠিকানা rawandi@googlemail.com.  ভাষান্তর: তৎসম বাঙালি অরণ্য)

 

অনলাইন : ২১ জুলাই, ২০০৯
 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Archive
 
সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ