লিখেছেনঃ অবন্তী সরকার, আপডেটঃ January 17, 2016, 12:00 AM, Hits: 2979
১. নারী
সাতটি কাহিনী এক করে দিলে
হয় না সাতকাহন
বাংলার কথকতা করেছে
তোমাকেই আবাহন।
তোমার শিকড়ে আজও লেগে মাটি,
আমায় উপড়েছে কবে
তোমার আমার রঙ আঁকিঝুঁকি
দাঁড়িয়েছে অসম্ভবে।
সময় কবে বদলে গেছে
বদলেছে অসময়
সময়ের কাছে হারোনি তুমি
হয়নি পরাজয়।
জাতকের কথাতেও তুমি আছো
আছো লোককথাতেও,
সাদা থানে এসে দাঁড়িয়েছ তুমি
চন্দ্র শরৎএও
সাহিত্য তোমাকে দিয়েছে গরিমা,
নামিয়েছে অনেক নিচে,
তবুও তুমি কলঙ্কিনী,
সতীত্বে লাল ভিজে।
সধবায় তোমার কেশের বাহারে
মরেছে কত যে কবি
সেই তুমি যেই বিধবা হলে
কত চুল দিল বলি।
তোমার বাবা পুজারী ছিলেন
তোমার স্বামী ডাকাত
তোমার ছেলে বিদ্যাসাগর
তোমার ছেলে আসাদ।
পুরুষ তোমাকে দিয়েছে সিঁদুর
মুছেও দিয়েছে তা
জীবন্ত তুমি পুড়েছ কখনো
জলন্তচিতায় . .
বাংলা তোমায় করেছে পুজো
রেখেছে পায়ে মাথা
চারিদিনের সেই দেবীখেলা ... শেষে
ভাসিয়েছে ত্রিস্রোতায়।
২. ভাগ
ঘুম ভেঙ্গে শুনি ভাগ হয়ে গেছে।
এখনো ভাগ শিখিনি আমি,
দাদা পারে, ওতো উঁচু ক্লাসে।
ভাগ না কি বড় বাজে?
ভাগ হলে নাকি আমরা পাকিস্তান হবো,
তাহলে আর বলবনা বুঝি
‘আমাদের দেশ ভারতবর্ষ’
তাহলে না কি পাশের বাড়ির
তানজিম আর ইকবালরা
আমাকে আর পিসিকে তুলে নিয়ে যাবে।
মা কাঁদে খুব।
ভাগ হয়ে গেছে , আমরা না কি
ভারতেই আছি, বাবা খুব খুশি।
কিন্তু আমাদের কলতলা আর
গোয়ালঘর না কি ওপারে
পাকিস্তানে,
এত কাছ থেকে হয়েছে ভাগাভাগি।
আমি আর ভাগকরা শিখবোনা স্কুলে,
দাদাকেও বলবো ভুলে যেতে।