লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক, আপডেটঃ May 4, 2008, 6:00 PM, Hits: 4459
টুকরো টুকরো সময়ের ঝড়
আমাদের উড়িয়ে নেয়
অন্য কোন সময়ের সমুদ্রের ভিতর;
তার চারপাশে দেওয়ালের মত থাকে
সবুজ বনরাজি, মৃত্তিকা, উপকূল,
গাছে কাঁদে পক্ষী শাবক, ঝরে
আলোকিত দিন, তারপর রাত্রি নামে।
কখনো শুধুই আঁধার, কখনো
জ্যোৎ্নার মালা গেঁথে আকাশের অভিসার
পৃথিবীর সাথে।
উপকূলে বসে থাকা নারী এক
দীঘল ছড়ানো চুল বাতাসে ওড়ে,
দেখা যায় কি না যায় তাকে
এমনই ছায়ার মত দু’ চোখে তাকায়
জ্যোৎ্না ঠোঁটে পান ক’রে;
তারপর শুধায় আমাকে, ‘কী খোঁজ এখানে?’
‘অনন্তের অভিসারে যেতে চেয়ে আমি এই সাগরে
আমাকে সে হয়ত বা দিবে অমরতা।’
হেসে ওঠে নারী, ‘তুমি খোঁজ অমরতা,
সীমাকে পার হয়ে অনন্তকে পাবে ভাব তুমি?
সীমাবদ্ধ নারী এক ¬ আমাকে দেখো!
তোমারও চারপাশে সীমার প্রাচীর তোলা
অনন্তের স্বপ্ন কেন দেখো?’
্লান হাসি, ‘তবে কি অনন্ত কোনোখানে নেই?’
তখন সে মৃদুস্বরে বলে
‘উঠে এসো ঐ কল্পনার সমুদ্র হতে
আমাকে বাহুতে বাঁধো ওগো!
একদিন তুমি আমি প্রকৃতিতে ফিরব,
অথচ আমরা দু’জন দেখো
তখনো আর কোন সাগরের পাড়ে
এমনই দু’জনের দেখা পাব।
ভিন্ন কোন রূপের ভিতর তখন
আমরা দু’জন সীমাকে ডিঙ্গিয়ে
আর কোন সীমানায় আবদ্ধ হব।
এমনই করে দুই অন্তের মিলনে
চলুক না চিরকাল অনন্তের সন্ধান।
ওগো প্রিয় পুরুষ এসো,
আমাতে দাও তোমার অনাগত প্রাণ!’
এই বলে সে দু’ বাহু বাড়িয়ে ধরে
জ্যোৎ্নার ভিতরে অথবা স্বপ্নের ভিতরে
উপকূলে ্লান ছায়া পড়ে।
১০ এপ্রিল, ১৯৯২
অনলাইনঃ ৮ মে, ২০০৯