রূপকথা – শামসুজ্জোহা মানিক (কবিতা)
লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক , আপডেটঃ June 11, 2009, 6:00 PM, Hits: 4786
রূপকথা – শামসুজ্জোহা মানিক (কবিতা)
রূপকথা – ১
অপরূপ এক বাহুর ’পরে মাথা ছিল রাখা
তুমি এলো চুলে ঘুমিয়ে ছিলে একা।
আধ খোলা দুই ঠোঁটে যেন ডালিম ছিল ঢালা
দেখেছিলাম তোমায় কিরণমালা।
অচিনপুরীর হীরার গাছ হতে
পেড়েছিলাম মতির ফুল, সোনার ডালিম হাতে,
মুক্তা ছিল শিশির সম ঘাসের ’পরে ঝরে
এনেছিলাম আপন হাতে সবই চয়ন করে।
তোমায় দেখে মুগ্ধ হৃদে দিলাম সবই ঢেলে
তোমার পায়ের নীচে, তারপর তো গেলাম ধীরে চলে।
তুমি জানলে না তো কোন পথিক এসে
চলে গেল দূর হতে তোমায় ভালবেসে।
ওগো কিরণমালা! আমায় তোমার হল নাকো জানা
নীলকমল আর লালকমলের সাথে আমার আছে চেনা।
২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮২
রূপকথা – ২
আমাকে দেখো নি কি তেপান্তরে অশ্বত্থের তলে
যখন হীরার কুচির মতো আকাশে তারা উঠেছিল জ্বলে
আমি রাজকুমারের বেশে ঘুমানো তখন সেইখানে
হে কঙ্কাবতী, মণিমালা! তখন ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী ব্যস্ত আলাপনে
কাছে বাঁধা পক্ষীরাজ সেও তো ঘুমায়
তেপান্তরে মৃদু হাওয়া রূপকথা কয়ে যায়।
যখন তেরো নদী পার হয়ে রাক্ষসের দেশে
রূপকুমার ভোমরাকে মেরে উঠেছিল হেসে
ক্ষীরের নদীতে এসে হরিণেরা করেছিল জলপান
বাতাসে ভাসে যখন চন্দনের মতো তোমাদের কেশের আঘ্রাণ
তখনো কি দেখো নাই আমাকে তোমাদের কাছে
কাঁদে নি কি চন্দ্রাবতী রাজার কুমার চলে যায় পাছে?
রাজার কুমার ঘুমায় নক্ষত্রের আলো ভরা রাতে
ওগো কিরণমালা! পক্ষীরাজ, কোটালপুত্র কেউ নাই সাথে।
২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮২
অনলাইনঃ ১২ জুন, ২০০৯
রূপকথা – ১
অপরূপ এক বাহুর ’পরে মাথা ছিল রাখা
তুমি এলো চুলে ঘুমিয়ে ছিলে একা।
আধ খোলা দুই ঠোঁটে যেন ডালিম ছিল ঢালা
দেখেছিলাম তোমায় কিরণমালা।
অচিনপুরীর হীরার গাছ হতে
পেড়েছিলাম মতির ফুল, সোনার ডালিম হাতে,
মুক্তা ছিল শিশির সম ঘাসের ’পরে ঝরে
এনেছিলাম আপন হাতে সবই চয়ন করে।
তোমায় দেখে মুগ্ধ হৃদে দিলাম সবই ঢেলে
তোমার পায়ের নীচে, তারপর তো গেলাম ধীরে চলে।
তুমি জানলে না তো কোন পথিক এসে
চলে গেল দূর হতে তোমায় ভালবেসে।
ওগো কিরণমালা! আমায় তোমার হল নাকো জানা
নীলকমল আর লালকমলের সাথে আমার আছে চেনা।
২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮২
রূপকথা – ২
আমাকে দেখো নি কি তেপান্তরে অশ্বত্থের তলে
যখন হীরার কুচির মতো আকাশে তারা উঠেছিল জ্বলে
আমি রাজকুমারের বেশে ঘুমানো তখন সেইখানে
হে কঙ্কাবতী, মণিমালা! তখন ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী ব্যস্ত আলাপনে
কাছে বাঁধা পক্ষীরাজ সেও তো ঘুমায়
তেপান্তরে মৃদু হাওয়া রূপকথা কয়ে যায়।
যখন তেরো নদী পার হয়ে রাক্ষসের দেশে
রূপকুমার ভোমরাকে মেরে উঠেছিল হেসে
ক্ষীরের নদীতে এসে হরিণেরা করেছিল জলপান
বাতাসে ভাসে যখন চন্দনের মতো তোমাদের কেশের আঘ্রাণ
তখনো কি দেখো নাই আমাকে তোমাদের কাছে
কাঁদে নি কি চন্দ্রাবতী রাজার কুমার চলে যায় পাছে?
রাজার কুমার ঘুমায় নক্ষত্রের আলো ভরা রাতে
ওগো কিরণমালা! পক্ষীরাজ, কোটালপুত্র কেউ নাই সাথে।
২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮২
অনলাইনঃ ১২ জুন, ২০০৯