লিখেছেনঃ শামসুজ্জোহা মানিক, আপডেটঃ June 6, 2009, 6:06 AM, Hits: 918
হে অনন্ত,
রাত্রিদিন তোমার আহ্বান আমার হৃদয়ে ধ্বনিত।
হে অনন্ত, হে ব্যাকুল অজানার আহ্বান
কোন্ খানে তোমার আলোতে-আঁধারে আমিও হব দীপ্যমান?
সীমানা কোথায় নেই? অথবা শুরু ও শেষ?
তবু সীমাতেই কি বন্দী সব কাল অথবা দেশ?
ওগো সময়! ওগো যৌবন, ফেলে আসা দিন! ওগো জীবন!
সব চলে যায়, সব মুছে যায়; জানি একদিন তুমি আসবেই হে বিস্মরণ।
ধান খুটে খাওয়া কবুতর চলে যাবে উড়ে সময়ের নীড়ে
জানি তাও; আমিও তো যাব; তবে কার কাছে? পেতে প্রকৃতিরে?
তখন আমার হৃদয় অনুভবের মত বলো রয়ে যাবে কোন্ খানে?
পাখীর গানের মতো, বেদনার মতো ভালবাসা কোন্ প্রাণে
রেখে যাব? এইসব অনুভব, কল্পনা, নির্জন হৃদয়ের গান
হে অনন্ত, কোন্ খানে যাবে বলো, কোন্ প্রাণে বলো পাবে প্রাণ?
আহ্ মন! কেন যে মন, আহ্ হৃদয়! কেন যে হৃদয় এল!
প্রকৃতির মতো দ্বিধাহীন অনন্ত বস্তুরাশি সেই বুঝি ভাল।
এখন আমার হৃদয় বিচ্ছুরিত উল্কার মতো অনন্তে ছোটে
যেন সময়ের দুইধারী তলোয়ার আকাশকে বিদ্ধ করে, কাটে।
আমি , আমরা এখানে সবাই কম-বেশী একা;
কালের, প্রকৃতির ভীড়ে আমরা, তবু পাই কার, নিজেরও কতটুকু দেখা?
তবু হে অনন্ত, এই বুঝি ভালো, একবার ধরা দিয়ে হে ভালোবাসা
তুমিও চলে যাও অনন্তে, জীবনের মতো শুধু রয়ে যায় আশা।
হে অনন্ত, এইসব জীবনের, বস্তুর, সময়ের সব সীমা ডিঙ্গিয়ে হে অনন্ত,
রাত্রিদিন আমার হৃদয় তোমাতেই তবু হয় ধ্বনিত,
হে অনন্ত, হে বিস্ময়মাখা অনন্ত,
হে অমার হৃদয়ের, জীবনের স্বপ্নময় সাধ অচরিতার্থ।
২০ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮১
অনলাইনঃ ৬ জুন, ২০০৯