লিখেছেনঃ জাহিদুর রহিম, আপডেটঃ May 8, 2008, 7:31 AM, Hits: 948
সময়টা ছিল বাতাবিলেবুর গন্ধ মাখা।
রোদের গন্ধ থাকে না কিন্তু তখন তাও ছিল, শব্দের রং ছিল।
মেঘের উচ্ছ্বাস ছিল –
প্রজাপতিরা তাদের সব রূপ ফুলকে দিয়ে বর্ণহীন হয়ে যেত।
সেই সময় সকাল হত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ন্ধ
আর পুরো সময়টা জুড়ে হৃদয়ের সুগন্ধ মাখানো থাকত।
তখন আমাদের কেউ কিছু হতে চাইত না।
নারীরা ছিল সৌন্দর্যের অহংকারে পলাতক।
স্মৃতির দরজায় পাহারা ছিল না কোন
যা দেখতাম – শুধুই দেখতাম – মুগ্ধ হবার বাসনায়
সেই সময় আমাদের কিছু চাওয়া ছিল – হরিণ শাবকের মত অবাধ্য,
জলকন্যার মত রহস্যময়।
তখন ভালবাসা ছিল কবিতার মত রহস্যময়।
আমাদের স্বপ্নেরা বাষ্প হত, মেঘ হত – বৃষ্টি হত।
রংধনুর রংগুলো ছিল আমাদের একান্ত সম্পদ
আমরা ভাবতাম শুধুই ভাবতাম – ভাবনার সুবাস পাবার তাড়নায়
আমরা উৎসব করতাম নিজেদের ঘিরে
আমার সময় বেদনা ছিল অনিবার্য
বিষন্নতা ছিল বিলাসিতা
আমরা হারতে চাইতাম কারণ আমাদের হারানোর ভয় ছিল না
আমরা নিশ্চিত সংগ্রামের গান শুনতাম আর
অবিশ্বাসের হাসি হাসতাম
যখন ভেঙ্গে পড়তাম বেদনায় –
আমরা সব ছেড়ে নিজেদের আঁকড়ে ধরতাম খুব করে
কারণ আমরা নিজেদেরকে খুব বিশ্বাস করতাম।
ধীরে ধীরে সময়টা পাল্টে গেল
আমরা সবাই অনেক বড় মানুষ হয়ে গেলাম
কিন্তু যখন অনেক অকারণ হাসির মধ্যে আমি থেমে যাই
অথবা খুব ভয়ের কোন স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গে
অথবা হাঁটতে যেয়ে সবার থেকে আমি পিছিয়ে পড়ি
আমি রোদে বাতাবিলেবুর সুবাস পাই
আমি শব্দের গন্ধ পাই
নিজের অজান্তে নিজেকে আঁকড়ে ধরি খুব করে।
অনলাইন প্রকাশঃ ৮ মে, ২০০৮