লিখেছেনঃ সুষুপ্ত পাঠক, আপডেটঃ September 23, 2019, 12:00 AM, Hits: 5004
জাকির তালুকদার, আপনার কথা সঠিক, ভারতে প্রচুর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে পক্ষান্তরে বাংলাদেশে একটি দাঙ্গার ঘটনাও আমি অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে বের করতে পারিনি। দাঙ্গা হয় দুইপক্ষে মধ্যে সশস্ত্র অবস্থায়। ভারতে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার ইতিহাস বেশ পুরোনো। সেখানে হিন্দুরা যেমন মারে তেমনি মুসলমানরাও মারে। ভারতে দাঙ্গার ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন দুই পক্ষের মানুষ সমানভাবে মরেছে, প্রশাসন বা সংখ্যাগরিষ্ঠের কারণে মুসলমানের সংখ্যা বেশি হতে পারে কিন্তু সেখানে দাঙ্গা হয়, মানে দুই পক্ষ দাও বটি বল্লম কিরিচ নিয়ে একে অপরকে আক্রমন করে। বাংলাদেশে যদিও আমরা ‘নোয়াখালি দাঙ্গা’ বলি, ‘খুলনা দাঙ্গা’ ‘ঢাকা দাঙ্গা’ বলি। আদৌ এসব জায়গায় কোন দাঙ্গা হয়নি। এসব ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোতে স্রেফ মুসলিমদের হাতে হিন্দুরা কচুকাটা হয়েছে। লক্ষ্মিপুজার রাতে মসজিদে ঘোষণা দিয়ে হিন্দুদের হত্যা করা হয়েছিলো ৪৬-এ নোয়াখালীতে। বিহারে সেসময় দাঙ্গা হয়েছিলো মানে দুই পক্ষ একে অপরকে হত্যা করেছিলো। কিন্তু নোয়াখালীতে কেবল একতরফা হিন্দুরা মরেছে। তাদের নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর পাকিস্তান হলো। গোটা পাকিস্তান জমানায় একটিও দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি। ১৯৫০ সালে হিন্দুদের উপর আবার হামলা হলো। ভারতের হযরত বাল মসজিদ থেকে মুহাম্মদের চুল মুবারক চুরি গেছে গুজবে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের জবাই করা হলো। ১৯৬৪-৬৫ সালে আবার ফের হিন্দুদের জবাই করা হলো। তাদের সম্পত্তি এনিমি প্রোপার্টি করা হলো। বাংলাদেশ থেকে সেসময় যাদের উচ্ছেদ করা হলো, যাদের সম্পত্তি সরকারীভাবে বাজেয়াপ্ত করা হলো স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের নিজ নাগরিকভাবে স্বীকার করল না। তারা ফিরে এসে বাড়িঘর বুঝে নিবে সে সম্ভাবনাও স্বাধীন বাংলাদেশ রাখল না। অথচ আমরাই ফিলিস্তিনিদের ভূমিকার অধিকার নিয়ে রুমালে চোখ মুছি! তারপর বড় রকমের ঘটনা বলতে ৯০-এ বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা। এই মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে যা বাংলাদেশে ঘটেছে সেটা আর ইতিহাস পড়ে আমাকে জানতে হয়নি। এটা ঘটেছে আমার চোখের সামনে। দেখেছি ভীত সংকুচিত প্রতিবেশীদের। তাদের রাতারাতি দেশত্যাগে ঘটনা চোখে দেখা…। আর হ্যাঁ, কোলকাতায় ৪৭ সালে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছিলো। সেই দাঙ্গায় হিন্দু মুসলমান উভয়েই মরেছে কমবেশি। কিন্তু সেই দাঙ্গার জন্য দায়ী কে বা কারা? লেখক-রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদ লিখেছিলেন, এই দাঙ্গার দায় সোহরাওয়ার্দী এড়াতে পারেন না। তিনি ডাইরেক্ট একশন ডে’তে সরকারী ছুটি ঘোষণা করে দাঙ্গার বাধার আয়োজন করে দিয়েছিলেন। ইতিহাসের এসব এড়িয়ে যাওয়া মানে কি জানেন কমরেড জাকির? সেই দাঙ্গা মৃত নিরীহ মানুষের রক্ত নিজের হাতে লাগানো!
জনাব জাকির তালুকদার, অসাম্প্রদায়িক মুখোশ পরে আপনার ‘সাম্প্রদায়িক বাঙালী মুসলমান’ চেহারা বেরিয়ে গেছে যখন আপনি ভারতের বিজেপি আর বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীকে এক করে ফেলেন। জামাত ইসলামী কেযামত পর্যন্ত বাংলাদেশে আসতে পারবে না কিন্তু ভারতীয়রা জামাতের মত একই রকম মৌলবাদী দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে। আপনি লিখেছেন, বাংলাদেশে বিজেপি-র কাউন্টার পার্ট জামায়াতে ইসলামির মতো দল কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না। অথচ তারা নন, আমরাই নাকি সাম্প্রদায়িক!’ জনাব জাকির তালুকদার বিজেপি ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল। এটি হিন্দু ধর্মীয় কোন দল নয়। যে কারণে বিজেপিতে মুসলিম নেতা কর্মীও থাকে। জামাত ইসলামী একটি ইসলামিক দল। বাংলাদেশে যতগুলো ইসলামিক দল আছে তাদের সঙ্গে বিজেপি বা অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী দলের সঙ্গে তুলনা হয় না। বিজেপির সঙ্গে বাংলাদেশের বিএনপি, জাতীয় পার্টি তুলনা চলে। তুলনা হতে পারে বর্তমান আওয়ামী লীগের সঙ্গে। জামাত বা চরমোনাই পীরের ইসলামী দল ইসলামিক হুকুতের ভিত্তিতে গড়া দল। ইসলামের রাষ্ট্র ব্যবস্থার রাজনীতিকে নীতি ধরে তাদের রাজনীতি। হিন্দুদের শাস্ত্র মনু স্মৃতিতে নারীদের পুরুষদের চেয়ে হীন জ্ঞানহীন বললেও বিজেপি তাদের পরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন মহিলাকে বানায়। ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম বলেই ইসলামিক দলগুলোর কোন নারী শাখা নেই বা মূল দলে কোন নারী নেতৃত্ব থাকে না। তারা কোন নারীকে মন্ত্রী লিডার বানাবে না কারণ ইসলামে এটা হারাম। কিন্তু বিএনপি-জাতীয় পার্টি বাংলাদেশী মুসলিম জাতীয়তাবাদকে ধারণ তাই সেখানে নারী নেতৃত্ব সমস্যা নয়। এ কারণেই সংবিধানকে বিসমিল্লাহ বানিয়েও দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা- যা ইসলামে হারাম। আওয়ামী লীগও তাই। এই দলগুলোর হাতেই ছিলো বাংলাদেশের এতগুলো বছরের শাসনদন্ড। এদের হাতেই সংবিধানকে খৎনা করা হয়েছে। বিসমিল্লাহ বসেছে শুরুতে। ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা এখন ভারতে যে রকম করতে চায় তার সবকিছু বাংলাদেশে ব্হুকাল আগেই করা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্টের মাথার উপর আরবীতে কলেমা লেখা শোভা পায়। বাংলাদেশের এই তিনদলের যে কোন পোস্টার হ্যান্ডবিলিতেও সবার উপরে বিসমিল্লাহ লেখা থাকে। বাংলাদেশে সরকারীভাবে রেডিও টেলিভিশনে আজান প্রচার হয়। সরকারীভাবে ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন করে ইসলামের ব্যাপক প্রচার প্রসার করা হয়। একটা কালভার্ট উদ্বোধন করতে গেলেও সরকারীভাবে নিয়ম একটা মোল্লা ডেকে দোয়া করানো। এতসব করার পরও বাংলাদেশ সেক্যুলার! জামাত ইসলামী বা চরমোনাই পীরের দল ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মীয়করণ দেখতে পাবেন। তারা কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না সেটা ভিন্ন কথা। ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্মে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা নেই। ঐ ধর্মগুলো কেবল ধর্মই। তাই ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে অন্যান্য ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী দলগুলোর বড় তফাত। ভারতের বিজেপির সঙ্গে জামাতের তুলনা মাথা ও পেট গরম থাকলেই কল্পনা করা সম্ভব।
জাকির তালুকদার সাহেব বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলমানদের যে কোন ভূমিকা নেই সেটা আপনি জানেন এবং অস্বীকার করার উপায় নেই বুঝেই খোড়া যুক্তি খুঁজেছেন। সূর্যসেনের দল অভিযানে যাওয়ার সময় মা কালির পা ছুঁয়ে প্রনাণ করে যেতো বলেই মুসলমানদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ কিভাবে হয়? এগুলো আহমদ ছফা-সলিমুল্লাহ খানদের বানানো কিসসা। আপনি প্রমাণ দেখাতে পারবেন মুসলমান ছেলেরা দলে দলে যুগান্তর দলে যোগ দিতে চেয়েছিলো আর তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো? আপনার মানবিক সাজার আড়ালে মুসলিম চেহারা এবার বেরিয়ে পড়েছে। মুসলমানরা শরীতুল্লাহ, দুদু মিয়াদের ইংরেজি বিরোধী বীর হিসেবে মান্য করে। তারা ইংরেজ তাড়িয়ে ‘দারুল ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। শরীতুল্লাহ বাঁশের কেল্লা পড়েন নাই? এই শরীতুল্লাহ মুসলমানদের ভারতবর্ষে ঈদের নামাজ পড়া হারাম বলেছিলো কারণ ইংরেজি শাসিত ভারত হচ্ছে ‘দারুল হার্ব’ যেখানে শরীয়ত অনুযায়ী ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। এরকম ফান্ডামেন্টালিস্ট মুসলিমদের হাতে ইংরেজ বিরোধী মুভমেন্ট সংঘটিত হয়েছিলো। গান্ধি যখন অসহযোগ আন্দোলন ডাক দিলেন তখনো ভারতীয় মুসলমানরা তুরস্কের খিলাফত সুরক্ষার জন্য ‘খিলাফত আন্দোলন’ করছে। মুসলমানরা তাদের ইসলামিক খিলাফতের শেষ চিহৃ তুরস্কের খিলাফত ও খলিফাকে নিজেদের খলিফা ঘোষণা করে আন্দোলন শুরু করেছিলো। প্যান ইসলামিক এই আন্দোলনে তখনকার শার্ট প্যান্ট পরা উকিল মোক্তার মুসলমানও যোগ দিয়েছে। গান্ধিজি দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠি ইংরেজ বিরোধীতায় যোগ দিতে আন্দোলন বেগমান হবে চিন্তা করে তাদের প্রস্তাব দিলেন অসহযোগ আন্দোলনে আসতে। মুসলমানরা শর্ত দিলো যদি তাদের খিলাফত আন্দোলকে সমর্থন করা হয় তবে তারা ভেবে দেখবে প্রস্তাব। গান্ধি শর্ত মেনে নিলেন। বস্তুত সেদিন থেকেই ভারতে বড় রকমের ভাগ্য লেখা হয়ে গিয়েছিলো। একটা সাম্প্রদায়িক আন্দোলন, বিদেশী এক শাসককে নিজেদের শাসক ঘোষণা করা কোন চিন্তাকে সমর্থন কংগ্রেসের ভেতর ‘হিন্দুত্ববাদ’ জেগে উঠার মন্ত্রনা এসে যাবার সুযোগ করে দেয়। শরৎচন্দ্র ও দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জের আলাপচারিতা একটু কষ্ট করে পড়ে দেখবে জাকির ভাই। আপনার পড়াশোনার ঘাটতি আছে দেখতে পাচ্ছি। অবিভক্ত ভারতে মুসলমানদের কিবলা তুরস্কে ছিলো। ভারতীয় হিসেবে নয়, তারা যেন মনগতভাব নিজ দেশে পরবাসী- নিরোদ সি দত্তের আত্মজীবনীটাও একটু পড়ে দেখবেন। তুরস্কের কামাল পাশা ক্ষমতায় আসায় কবি নজরুলের হারমনিয়া বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় গান গাওয়ার কথা সেখানে পাবেন।
‘পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদ’! জাকির নায়েক নয় জাকির তালুকদার বলছে যিনি নিজেকে বামপন্থি অসাম্প্রদায়িক দাবী করেন! যে ভাষা হেফাজতের শফী-বাবুনাগরি ব্যবহার করে সেই একই ভাষায় তাদেরও আগে আবুল ফজল, আবুল মনসুর আহমদ করে গেছেন তা আগের লেখায় খানিকটা দেখিয়েছি। কাজেই জাকির তালুকদার তো তাদের চেয়ে লেখক হিসেবে বড় নন। আপনি কি লিখেছেন আরেকবার চোখ বুলান। “বাঙালি মুসলমান কৃষক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় পাটবিক্রির টাকায় তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য অর্জন করল। কিন্তু দেখল যে পাঠ্যসূচিতে কেবল হিন্দু দেব-দেবীর বর্ণনা, হিন্দু পৌরাণিক আখ্যান। পাঠ্যসূচি মোটেই ধর্মনিরপেক্ষ নয়। পুরোপুরি হিন্দুত্ববাদী। এ তো মুসলমানের বিশ্বাসের সাথে যায় না। পাঠ্যপুস্তকের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। তার ফলাফল কী হয়েছিল তা আমার জানা নেই। “ -এই যে বাঙালী মুসলমান কৃষক পাট বিক্রির টাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠালো- কাদের স্কুলে পাঠালো? একটু আহমদ শরীফের দাড়স্থ হোন। আহমদ শরীফ বলছেন, জমিদার হিন্দুরা গ্রামগঞ্জে স্কুল খুলেছিলো। সেই স্কুল খোলার কারণে হিন্দুদের সঙ্গে কিছু মুসলিম ছেলেও সুযোগ পেলে ইংরেজি পড়ার। সেই ছাত্রদের প্রথম পুরুষ হচ্ছে কাজি মোতাহার হোসেন চৌধুরীরা…। তাহলে দেথা গেলো আগে থেকে একটা শিক্ষা সিলেবাস ছিলো। সেখানে পড়তে গিয়ে হিন্দু দেবদেবী পাওয়া গেলে তার নাম ‘হিন্দুত্ববাদী’! আপনার কি মনে হয় মুসলমানরা বখতিয়ারের ঘোড়ায চড়ে এদেশে এসেছিলো? আপনি ইতিহাস ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে কোন জাতিসত্বা বানাতে চান? ‘মনসামঙ্গল’ তো মনসা দেবী আর বেহুলা লখিন্দকে নিয়ে লেখা। এটি কি আমার প্রাচীন সাহিত্য কীর্তি নাকি হিন্দুত্ববাদ বলে পরিত্যাগ করব? ‘হিন্দুত্ববাদ’ বিজেপির একটি কৃত্রিম রাজনৈতিক পরিচয়, কিন্তু আমার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্যের যে হিন্দু দেবদেবী, যে সংস্কৃতি তাকে হিন্দুয়ানী বলাটা আত্মপরিচয়কে অস্বীকার করা। এতখানি মুসলমানিত্ব নিয়ে আর যাই হোক মানবিক সাহিত্য রচনা সম্ভব নয়। আপনি কি লিখেন জানি না। শীর্ষেন্দু, সুনীলদের মত পুঁজিপতিদের ধরে দেখতে পারেন কয় কপি বই বিক্রি হয়! প্রচারণা করে কারো লেখা ভালো লাগানো যায় এই প্রথম আপনার কাছ থেকে জানলাম! ভারতীয় সিনেমা সম্পর্কে আপনার ধারণা এতখানি হাস্যকর যে সেটা নিয়ে বলতে নিজেরই লজ্জা লাগছে। আর হ্যা, বদরুদ্দিন উমার কিংবা হাসান আজিজুল হকের নিজেদের লেখাই আছে দেশভাগ ও তাদের পাকিস্তানে চলে আসা নিয়ে। কেউ মার খেয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে আসেনি। দেশভাগে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা স্রোতে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক-অথনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছিলো। বড় বড় বাগানবাড়ি, জমিদার বাড়ি রিফিউজিদের হাতে দখল হয়ে পড়েছিলো। শিয়ালদা স্টেশনে পূর্ববঙ্গ ফেরত রিফিউজি হিন্দুদের ভীড়ে পা দেয়া যেতো না। এত মানুষের জন্য খাবার নেই। জায়গা নেই। চাকরির বাজার রাতারাতি ধসে গেলো। কত মেয়ে অন্ধকার জগতে চলে গেলো। কত লোক বেকার না খেয়ে মরে গেলো। ঋত্বিক ঘটকের সিনেমা দেখাও কি বামপন্থিদের জন্য পাপ নাকি? যদি দেশভাগে সমানভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূর্ববঙ্গে মানুষ আসত তাহলে তার সামাজিক প্রভাব কি থাকত না? কয়েকজন পশ্চিমবঙ্গ ফেরত সাহিত্যিকের নাম দিয়ে একটা ইতিহাসকে অস্বীকার করা- ছি:!
আপনি কি লেখন না লিখেন তা নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। কিন্তু যেখানেই মিথ্যার বেশাতি দেখি সেখানে আগ বাড়িয়ে জবাব দেয়া আমার স্বভাব। আপনার বালসুলভ অপইতিহাস নিয়ে কিছু না লিখলে, একটা মিথ্যাকে চোখের সামনে জ্বলজ্বল করতে দেখলে অস্বস্তি হয়। আমার মত কেউ আপনার পোস্টে এসব লিখে লোকজনকে তুলনা ও চিন্তা করতে দিবে বলেই আমাকে ব্লক করে রেখেছেন। জানেন আপনার জবাব দেয়ার মত কোন রাস্তা আমি রাখব না। আমাকে ভারতের দালাল, কখনো বাংলাদেশী হিন্দুত্ববাদী বলে কিছু প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমার নাগরিত্ব, জাতীয়তা খোঁজার আগে দেখুন আমার কথার কোন জবাব আপনার কাছে আছে কিনা?
সংগ্রহ : https://pathoksusupto.wordpress.com/2019/09/23/বাংলাদেশী-স্বঘোষিত-মুসল/